সৌদি আরবের কয়েকটি তেলবাহী জাহাজ `গুপ্ত হামলার` শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছেন সৌদি জ্বালানি মন্ত্রী। সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলে রবিবার এই ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
একটি বিবৃতিতে সৌদি জ্বালানি মন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ বলেছেন,ফুজাইরাহ বন্দরের কাছাকাছি ওই হামলায় জাহাজগুলোর `অনেক` ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত জানিয়েছে, অনেক গুলো দেশের নাগরিক থাকা চারটি জাহাজ হামলার শিকার হয়। তবে হতাহতের কোন তথ্য জানা যায়নি।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, হামলার এই ঘটনা `উদ্বেগজনক এবং ভীতিকর` এবং এর পূর্ণ তদন্তের আহবান জানিয়েছেন। এরপর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা চলছে। এখান দিয়ে বিশ্বের মোট জ্বালানি তেলের এক পঞ্চমাংশ রপ্তানি হয়ে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী ও নৌ চলাচলের ওপর ইরানের হুমকির `পরিষ্কার ইঙ্গিত` পাওয়ার কথা জানিয়ে কিছুদিন আগে ওই এলাকায় অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।তবে ওই অভিযোগকে অযৌক্তিক বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান।
`গুপ্ত হামলা` সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে
``আরব উপসাগর অতিক্রমের সময় আমিরাতের ফুজাইরাহ বন্দরের কাছাকাছি এলাকায় দুইটি সৌদি তেলের জাহাজ গুপ্ত হামলার শিকার হয়েছে।`` সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় প্রেস এজেন্সি ফালিহকে উদ্ধৃত করে খবর দিয়েছে।
``দুইটি জাহাজের একটি সৌদি অপরিশোধিত তেল নিয়ে রাস তারুনা বন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি আরামকোর গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।`` হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি, তবে দুইটি জাহাজের বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ফালিহ বলছেন, ``সাগরে নৌচলাচলের এবং তেলবাহী জাহাজগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যৌথ দায়িত্ব রয়েছে।``
তবে ফুজাইরাহ বন্দরে রবিবার বিস্ফোরণের যে খবর দিয়েছিল আরব আমিরাতের গণমাধ্যম, তা নাকচ করে দিয়েছিল আমিরাতের সরকার। ওই এলাকা দিয়ে নৌযান চলাচলের সময় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিটাইম কর্তৃপক্ষ।