ছবি: আইএসপিআর
ঢাকা: বধিরতা বাংলাদেশে একটি বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্বজুড়ে প্রতি ১৫০০ জনের মধ্যে ১ জন শিশু বধিরতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। সে হিসেবে বাংলাদেশে আনুমানিক ১.৫ মিলিয়ন শিশু মারাত্বক ধরনের বধিরতায় ভূগছে। মাতৃত্বকালীন ইনফেকশন, হোম ডেলিভারি, নিকটতম আত্মীয়দের মধ্যে বিবাহ, টিউবারকুলাস মেনিনজাইটিস, নিওনেটাল জন্ডিস, পুষ্টিহীনতা, হরমোন ও জেনেটিক ডিসঅর্ডার বাংলাদেশে বধিরতার হারকে আরও ত্বরানি¡ত করছে।
কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস যা মারাত্বক বা সম্পূর্ণ বধির ব্যক্তিকে সফল সার্জারির মাধ্যমে শব্দ শুনতে সহায়তা করে। সাধারণত ৮ বছরের নীচে সকল জন্মগত বধির ও বোবা এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে যারা বিগত ১০ বছরের মধ্যে শ্রবণশক্তি হারিয়েছেন, তারা সবাই কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারির মাধ্যমে শ্রবণশক্তি ফিরে পেতে পারেন।
বর্তমানে ঢাকা সিএমএইচ এ একটি বিদেশে প্রশিক্ষিত কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট টিম রয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর ২০১১ তারিখে সর্ব প্রথম এই অত্যাধুনিক ও দূর্লভ সার্জারি ঢাকা সিএমএইচে সম্পন্ন হয়। ৫ মে ২০১৯ তারিখে কোন ঝুঁকি/জটিলতা ছাড়াই ১০০তম কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারি ঢাকা সিএমএইচ এ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
উন্নত বিশ্বে এই সার্জারিতে ৬০-৭০ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে থাকে। সেনাবাহিনী প্রধানের বিশেষ নির্দেশনায় ও আগ্রহে ঢাকা সিএমএইচ এ নিজস্ব টিম দ্বারা কেবল মাত্র ডিভাইস মূল্য বাবদ আনুমানিক ৬.৫ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়ে থাকে। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছর হতে সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে বিনামূল্যে/স্বল্পমূল্যে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রম ঢাকা সিএমএইচ এ চালু হয়েছে।
সামরিক বাহিনীর রোগীদের পাশাপাশি সকল বেসামরিক রোগীদের জন্য এ সেবা উম্মুক্ত রয়েছে। ফলে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারি মাধ্যমে শব্দহীন অন্ধকার জগত হতে শব্দময় আলোকিত জগতে প্রবেশ করবে। শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু ও ব্যক্তি প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্ত হয়ে সুদক্ষ ও সুনাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সমাজ ও জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।-সূত্র: আইএসপিআর