ঢাকা : নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের পর থেকে তা সংশোধনের দাবিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় পরিবহন ধর্মঘট চলছে। এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীতেও।
মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। সায়েদাবাদ থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কের সব ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। গাবতলীতেও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। দূর পাল্লার পরিবহন না চললেও হালকা পরিবহন দুই একটা চলছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
বুধবার সকাল ৭টা থেকে নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দক্ষিণাঞ্চলগামী প্রায় ২০ জেলায় চলাচলরত গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকামুখী সব যানবাহন বন্ধ রয়েছে।এ ছাড়া রাজধানীতে চলাচলরত বাসগুলোও বন্ধ করে দিয়েছেন ধর্মঘটকারীরা। শুধু বাস নয়, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা- এমনকি ভ্যানও চলাচল বাধা সৃষ্টি করছেন তারা।
এসব বাহন চলতে দেখলেই চাকার হাওয়া বের করা কিংবা যাত্রীদের জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিচ্ছেন ধর্মঘটকারীরা।এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন অফিসগামীসহ সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ে পিইসি পরীক্ষার্থীরা।
ধর্মঘটের বিষয়ে ঠিকানা বাসের চালক দেলোয়ার হোসেন ও প্রাইভেটকারচালক নাজমুল হাসান বলেন, আমাদের ওপরে যে আইনটি চাপিয়ে দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আমরা এ আইন মানি না।ডেমরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রবিউল ইসলাম বলেন, ঢাকার অংশে যানবাহন প্রবেশ ও এখান থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকরা। আমরা তাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।
এদিকে নতুন সড়ক আইন সংশোধনসহ ৯ দফা দাবিতে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ধর্মঘট চলছে।