ছবি : সংগৃহীত
খুলনা : আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেউ বানচাল করতে পারবে না।
বিএনপি’র উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নির্বাচনের মাঠে নামেন। ফাউল করার চেষ্টা করবেন না, তাহলে জনগণ আপনাদের লাল কার্ড দেখিয়ে দেবে। শেখ হাসিনা নির্বাচনী মাঠে গোল দিতে মিস করবেন না। আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলে তাদেরকে বাটি চালান দিয়েও খুজে পাওয়া যাবে না।
শনিবার বিকেলে খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে আয়োজিত ১৪ দল খুলণা মহানগর জেলা শাখার মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মোহাম্মদ নাসিম।
১৪ দল সমন্বয়ক বলেন, চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ যখন সফল হয় তখন চক্রান্ত শুরু হয়। নির্বাচন হবে কোন হুমকি ধমকি দিয়ে কাজ হবে না। আগামী নির্বাচন হবে সংবিধান অনুসারে। নির্বাচনী সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে বানচাল করতে বিএনপি ভাড়াটে নেতাদের মাঠে নামিয়েছে। বিএনপি খুনীদের দোসর। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থেকে খুনীদের বিচার করেনি। এমনকি তার স্বামী জিয়াউর রহমানের খুনীদের বিচার করেনি। তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের বিচার শেখ হাসিনা করেছে। ২১ আগষ্ট বোমা হামলার বিচার হয়েছে। বিচার হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের। বিএনপি জামাত ক্ষমতায় আসলে জঙ্গিবাদের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা হবে।
খুলনাবাসীর উদ্দেশ্যে নাসিম বলেন, খুলনা বঙ্গবন্ধু স্মৃতিবিজড়িত স্থান। শেখ নাসেরের স্মৃতিবিজড়িত স্থান। সামনের নির্বাচন ৭০ সালের নির্বাচনের মত গুরুত্বপূর্ন। ৭০-এর নির্বাচনের পূর্বে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন তোমরা আমাকে একটি ভোট দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব। তিনি কথা রেখেছিলেন। শেখ হাসিনার স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ বাস্তবায়নের পথে। পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন হলে খুলনা তথা দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন হবে।
মোহাম্মদ নাসিম বক্তব্যেও শুরুতে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কাও প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেককে নির্বাচিত করায় খুলনাবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি আওয়ামী লীগ খুলনা জেলার সাধারণ সম্পাদক এসএম মোস্তফা রশিদী সুজার কথা স্মরণ করে বলেন, তিনি নির্যাতনের শিকার হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ জন্য বিএনপি সরকার দায়ী। মোহাম্মদ নাসিম বিকেল ৫টা ২৭ মিনিটে বক্তব্য শুরু কওে শেষ করেন ৫ টা ৪০ মিনিটে।
আওয়ামী লীগ খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি সিটি মেয়র তালুকদার খালেকের সভাপতিত্বে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়–ৃয়া বলেন, আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলের সাথে স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিরোধ করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক মতাদর্শে বিশ্বাসী। শেখ হাসিনা শ্রমিক বান্ধব সরকার প্রধান। দেশকে শিল্প সমৃদ্ধ করে প্রতিষ্ঠা করতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। বর্তমানে দেশে দুটি ধরা স্পষ্ট। একটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বেও মুক্তিযদ্ধেও পক্ষের শক্তি। অন্যটি খালেদা জিয়া, ড. কামাল, বি চৌধুরী, পক্ষে জামায়াতসহ স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি।
জাসদ (আম্বিয়া) সভাপতি নুরুল আম্বিয়া বলেন ১৪ দলের নেতৃত্বেও প্রতি আস্থা রাখেন। যে ধারায় ১৪ দল শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে বাংলাদেশ এক সময় উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে। বাংলাদেশকে এক সময় তলাবিহীন রাষ্ট্র বলা হত। সেই বাংলাদেশ আজ মধ্যম আযের দেশ। উন্নয়নের রোল মডেল।
ওযার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, খালেদা জিয়া দেশকে জঙ্গি রাাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ভাড়াটে নেতাদের একত্রিত করেছে। বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধীদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়ে মীরজাফরের ভূমিকা রেখেছে। স্বাধীনতা বিরোধী, জঙ্গিবাদের দোসরদের নিয়ে যারা ঐক্য করেছে তারা মীর জাফরের দল। শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজাকারদের বিচার করেছেন। আগামীতে মীরজাফরদের বিচার করবেন।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন-আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, ডাঃ শাহাদাত হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, ড. নীম চন্দ্র ভৌমিক, অসীত বরণ রায়, শেখ শহিদুল ইসলাম, রেজাউর রশিদ খান, শফিকুল হামিদ চন্দন, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, এফ এম ইকবাল, অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী প্রমূখ।
বহুমাত্রিক.কম
