Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

চৈত্র ১৪ ১৪৩০, শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

সামনে আরও খারাপ দিন আসতে পারে:পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীর হুঁশিয়ারী

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৪৯, ৬ আগস্ট ২০২২

প্রিন্ট:

সামনে আরও খারাপ দিন আসতে পারে:পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীর হুঁশিয়ারী

এরই মধ্যে ডলারের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। বর্তমানে এক ডলারের মূল্য ২২৪.৪০ পাকিস্তানি রুপি। বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে বিপুল টাকার পণ্য। বিদেশি মুদ্রার অভাবে তেলের আমদানি এক ধাক্কায় অনেকটা কমিয়ে দিতে হয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে সতর্ক করলেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল। তার হুঁশিয়ারি, আরও খারাপ দিন আসছে। আগামী তিন মাস বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির উপরে আরোপিত কড়াকড়ি বহাল থাকবে।

শুক্রবার পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্চের এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের এই শোচনীয় আর্থিক পরিস্থিতির জন্য ইমরান খান সরকার দায়ী।

ভেতরে ভেতরে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে পড়েছিল যে জনতার ক্ষোভে দেশ ছাড়তে হয়েছে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতিকে। সেই পরিস্থিতি না হলেও পাকিস্তানের আর্থিক পরিস্থিতি যে খারাপ তা দেশের নানা মহল থেকে বারবারই বলা হচ্ছে। তবে তার দায় ইমরান খান সরকারের উপরে চাপিয়েছেন শেহবাজ শরিফ মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী।
মিফতাহ ইসমাইল বলেন, পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) এর আমলে দেশের বাজেট ঘাটতি ছিল ১৬০০ বিলিয়ন ডলার। গত ৪ বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৩৫০০ বিলিয়ন ডলার। এরকম পরিস্থতিতে কোনও দেশই উঠে দাঁড়াতে পারে না। দেশের ঋণ যখন বাজেটের ৮০ শতাংশ হয় তখন কিছুই করার থাকে না।

তিনি বলেন, আগামী তিন মাস বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি কোনওভাবে বাড়ানো হবে না। এর মধ্যে বাজেট ঘাটতির ধাক্কা সামলানোর একট রাস্তা বের করবো। আমি জানি এতে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি কিছুটা থমকে যাবে। কিন্তু এছাড়া আর কোনও উপায় আমার হাতে নেই।

উল্লেখ্য, গত আর্থিক বছরে পাকিস্তান সরকার বিদেশ থেকে ৮০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করতো। সেই জায়গায় রফতানি হতো মাত্র ৩১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। তার উপরে ডলারের দাম হু হু করে বেড়েছে। তাই এরকম পরিস্থিতিতে কিছু কড়া পদক্ষেপ নিতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী।

এদিন তিনি আরও বলেন, সরকারের আর্থিক নীতি ঠিক পথেই চলছে। তারপরেও সামনে আমাদের কিছু কঠিন দিনের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা যদি এখন আমদানি কম করতে পারি তাহলে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিতে পারবো।

প্রসঙ্গত, ইমারান খান প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়ার পরই পাকিস্তানের অর্থনীতির ভেঙে পড়ে। এর প্রধান কারণ বৈদেশিক ঋণ।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer