ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দৈনিক সংগ্রামের প্রধান প্রতিবেদক এবং সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ওয়ারেন্টমূলে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানায় পুলিশ। অপরদিকে তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে, গত বুধবার বিকেলে ওয়ারেন্টমূলে রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেপ্তার করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের ওই দুটি মামলায় বিচার চলছে। ওই দুই মামলায়ই ওয়ারেন্ট জারি হয় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের এ সভাপতির বিরুদ্ধে।
২০১৩ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় হয়। তখন কাদের মোল্লাকে ‘কসাই কাদের’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।
২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের বার্ষিকীতে দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘শহীদ আবদুল কাদের মোল্লার ষষ্ঠ শাহাদৎবার্ষিকী আজ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
যুদ্ধাপরাধীকে ‘শহীদ’ উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় পরের দিন ১৩ ডিসেম্বর ওই ঘটনায় আফজাল হোসেন নামের একজন মুক্তিযোদ্ধা বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন। মামলায় দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ, প্রধান প্রতিবেদক রুহুল আমিন গাজী এবং বার্তা সম্পাদক সাদাত হোসেনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়।
এই মামলায় সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।