ছবি: পিআইডি
ঢাকা: উচ্চ আদালতে দায়ের হওয়া সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের দ্রুত অবহিত করতে এবং তাদের সাথে যোগাযোগ বাড়াতে ৫-৭ জন সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল এর সমন্বয়ে এ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে একটি সেল গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, এতে করে এ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের সাথে জেলা প্রশাসকদের যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়ার একটা ব্যবস্থা হবে। আইনমন্ত্রী মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০১৯ এর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত পঞ্চম অধিবেশনে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
ফৌজদারী কার্যবিধির কিছু কিছু ধারা প্রয়োগের ক্ষমতা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসিকে দেওয়ার বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, এটা করতে গেলে আইন সংশোধন করতে হবে। তাই এটা এখন হবে না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দেখা যাবে যে এটার প্রয়োজন আছে কিনা?
স্বাধীন প্রোসিকিউশন সার্ভিস গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, এখন যে প্রোসিকিউশন সার্ভিস আছে তার ৩০ শতাংশ স্বাধীন প্রসিকিউশন সার্ভিস করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সাথে সাথে পিপি-জিপিদেও বেতন-ভাতার আওতায় আনার কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে এবং এই প্রস্তাব ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটা আজকের ডিসি সম্মেলনে অবহিত করা হয়েছে।
সোমবার কুমিল্লায় আদালতের এজলাসে ছুরিকাঘাতে এক যুবককে খুনের বিষয়ে তিনি বলেন, এবিষয়ে তিনি কুমিল্লার এসপির সাথে বলে আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর কথা বলেছেন। শুধু কুমিল্লায় নয় সারা দেশের আদালতগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
এর আগে অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী ডিসিদের কাজ করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ইতিহাস সত্য কথা বলে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এবং ২০০১ থেকে ২০৬ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে বাংলার ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে প্রিয় জিনিষ ছিল বাংলার জনগণের ভালাবাসা। পাকিস্তান আমলে বাংলার জনগণের যে অবস্থান তিনি দেখেছিলেন সেই অবস্থান থেকে একটা ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়াই ছিল তার স্বপ্ন। বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ছিল সেটা যেন আমরা বাংলার জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারি সে ব্যাপারে ডিসিদের সচেষ্ট থাকতে বলেন তিনি।
ডিসিদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমাদের সামনে এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিসহ কিছু কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। এগুলোর ব্যাপারে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। আপনাদের সহযোগিতায় আমরা এগুলো দমন করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও আইন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সকল বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকরা উপস্থিত ছিলেন।
