ছবি- সংগৃহীত
ঢাকা : যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা ও সফলভাবে পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন শেষে বুধবার বাণিজ্যিকভাবে এর যাত্রা শুরু হচ্ছে। সন্ধ্যায় ২৭১ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করবে বিমানের প্রথম ড্রিমলাইনার।
বাংলাদেশ বিমানের বহরে যুক্ত হওয়া উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার `আকাশবীণা`র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এ বিমানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি।
চতুর্থ প্রজন্মের সর্বাধুনিক সুযোগ সুবিধার উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বাংলাদেশ বিমানের বহরে সংযুক্ত হয় গত ১৯ আগস্ট।
কেন বিশেষ এই বিমান, কী আছে এতে?
নতুন ড্রিমলাইনার গুলোতে যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট চলাকালীন সময়ে ইন্টারনেট ব্যাবহার ও ফোন কল করার মতো সুবিধাগুলো থাকবে যেগুলো আগে ছিল না। যাত্রীরা আরামের সাথে ইন্টারনেট ব্রাউজিং, সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন গেমস সহ যাবতীয় ইন্টারনেট ফিচার সমূহ উপভোগ করতে পারবেন।
এ বিষয়ে বিটিআরসির কাছ থেকে অনুমোদন নেয়ার কাজও শেষ। এই সার্ভিসটি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য বিমান বাংলাদেশ ৪ কোটি টাকা ব্যায়ে সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে। বিমান বাংলাদেশ এজন্য প্যানাসনিক অ্যাভিয়েশন কর্পোরেশনের সাথে চুক্তিও সম্পাদিত করেছে যারা ২৫ টি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ডাটা ট্রান্সফারের প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করবে।এ ছাড়া টিভি মনিটরে বিবিসি, সিএনএনসহ ৯টি টিভি চ্যানেল দেখতে পারবেন যাত্রী।
এই বিমানের আসন সংখ্যা ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসের আসনগুলো বানিয়েছে অ্যাসটেলা। আর ইকোনমি ক্লাসের আসনগুলো হেইকোর বানানো।
বিজনেস ক্লাস আসনের ক্ষেত্রে স্টেলিয়া ইকুইনক্স থ্রি ডি সিট ব্যাবহার করা হবে সিট গুলোতে বিশেষ ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকবে। এ গুলো ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত বিস্তৃত করা যাবে এবং যাত্রী ইচ্ছা করে আরামে ঘুমোতেও পারবেন। সিটগুলো ২-২-২ কম্বিনেশনে সাজানো হবে।
বাংলাদেশ বিমানের ড্রিম লাইনার ৭৮৭ এর বিজনেস ক্লাস এর আসন বিন্যাস অনেকটা এয়ার ক্যারাইবেস, এয়ার ইউরোপা, রয়্যাল এয়ার মারকো ইত্যাদি এয়ারলাইন্স এর মতই।