ছবি- বহুমাত্রিক.কম
যশোর : স্বজন-শুভানুধ্যায়ীদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় চিরবিদায় নিলেন যশোরের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, কবি ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক মোঃ সামসুজ্জামান। তিনি কাজী নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ও বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদ, যশোরের সভাপতি। বুধবার জানাজা শেষে যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাঠি ছাতিয়ানতলা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয় তাকে।
এদিন বেলা ১১টায় চুড়ামনকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠিত হয় সামসুজ্জামানের জানাজা। জানাজা নামাজ পরিচালনা করেন ছাতিয়ানতলা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা লিয়াকত হোসেন। আগামী শুক্রবার জুম্মাবাদ চুড়ামনকাঠি জামে মসজিদ ও ছাতিয়ানতলা জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন।
জানাজায় এবং দাফনের সময় উপস্থিত ছিলেন চুড়ামনকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি অ্যাড. মোশারেফ হোসেন, কাজী নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের শিক্ষকমন্ডলী, বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পদ্মনাভ অধিকারী, সহ-সভাপতি কাজী রকিবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মুন্নাসহ স্থানীয় সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিরা।
এরআগে বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদের সভাপতি কবি অধ্যাপক মোঃ সামসুজ্জামান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার ইবনেসিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি করোনায় পজিটিভ ছিলেন বলে জানা গেছে। কবি অধ্যাপক মোঃ সামসুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক, শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিবৃতি দিয়েছে বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদ।
বিবৃতিদাতারা হলেন, সহসভাপতি কাজী রকিবুল ইসলাম, আমির হোসেন মিলন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মুন্না, সহসাধারণ সম্পাদক নূরজাহান আরা নীতি, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হাসনাত সজল, প্রকাশনা সম্পাদক আহমদ রাজু, অফিস সম্পাদক শরিফুল আলম, কোষাধ্যক্ষ আবুল হাসান তুহিন, নির্বাহী সদস্য আহমেদ মাহাবুব ফারুক, অ্যাড. মাহমুদা খানম, নাসির উদ্দিন, সোনিয়া সুলতানা চাঁপা।ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি পদ্মনাভ অধিকারী, জাগপার কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও যশোর জেলা শাখার সভাপতি নিজামদ্দিন অমিত, যশোর জেলা শাখার সম্পাদক কামাল উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
১৯৫১ সালের ২০ অক্টোবর যশোর সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ পাস (বাংলা) করে কাজী নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ অধ্যাপনা শুরু করেন। ২০১২ সালে তিনি অবসরে যান। তিনি মৃত্যুকালে দুই ছেলে মেয়ে, স্ত্রীসহ অসংখ্য আর্ত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।
বহুমাত্রিক.কম