শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় শেষ বিদায় জানানো হলো দেশের অন্যতম অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে। সেগুনবাগিচায় কচি-কাঁচার মেলায় প্রথম ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা হয়। জন্মস্থান গোপালগঞ্জে তৃতীয় জানাজা শেষে রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে তাকে।
সেগুনবাগিচার কচি-কাঁচার মেলায় খ্যাতিমান ব্যাংকার খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। কফিনবন্দি হয়ে শেষবারের মতো প্রিয় সংগঠনের কার্যালয়ে সাংস্কৃতিকমনা এই অর্থনীতিবিদ।
কর্মময় জীবনে ব্যাংকিং ধ্যানজ্ঞান হলেও ১৯৫৬ সাল থেকে যুক্ত শিশুদের সাংস্কৃতিক চর্চায়। শেষ বিদায় জানাতে উপস্থিত সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে কচি-কাঁচার শিক্ষার্থীরা। শ্রদ্ধা জানানো হয় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে থেকেও।
প্রবীণ এই ব্যাংকার বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়াও দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সোনালী, অগ্রণী ও পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে। ব্যাংকিং খাতের স্বচ্ছতা ফেরাতে কাজ করে গেছেন নিষ্ঠার সঙ্গে। তার চলে যাওয়ার খবরে ছুটে আসেন দীর্ঘদিনের ব্যাংক খাতের সহকর্মীরাও।
রাজধানীতে কচি-কাঁচার মেলায় প্রথম জানাজা ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার জন্মস্থান গোপালগঞ্জে বাদ ইশা পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে।
পহেলা ফেব্রুয়ারি খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ করোনায় আক্রান্ত হলে রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। বুধবার ভোরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।