খাদ্যরসিক বাঙালি প্রাচীনকাল থেকে প্রধান খাদ্যের পরিপূরক বিভিন্ন রকম মুখোরচক খাবার তৈরি করে আসছে। তার মধ্যে পিঠা অন্যতম। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে এই পিঠা।
আর এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই প্রতি বছরের মতো এবারো শুরু হয়েছে জাতীয় পিঠা উৎসব।
বুধবার শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে বেলুন এবং পায়রা উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেন, পিঠার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এই আয়োজন বিশেষ ভূমিকা রাখছে। পিঠা বাঙালির চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অংশ। শীত আর পিঠা একে অপরের পরিপূরক। বাংলার গ্রামের মা, চাচি, খালা, বোন, ভাবিদের চিরায়ত সেই ঐতিহ্য নগরজীবন থেকে হারিয়ে যাওয়ার পথে। আবহমান বাংলার এ ঐতিহ্যকে তুলে ধরার লক্ষ্যে পিঠা উৎসবকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে।
নানান ধরনের পিঠার পসরা নিয়ে হাজির হয়েছেন সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠাশিল্পীরা। এবার মোট ৫০টি স্টলে প্রায় ২০০ ধরনের পিঠা দিয়ে সাজানো হয়েছে এই পিঠার আসর। বিভিন্ন অঞ্চলের সব বিখ্যাত পিঠার সমাহারতো রয়েছেই সাথে রসভরি, ছানার লবঙ্গ, মালাই চপ, আলুর পিঠা, দুধ পুলি, তিল পাকন, মিষ্টি পোয়া, স্বর ভাজার মতো বৈচিত্র্যময় সব লোভনীয় পিঠা রয়েছে যা খেতে ভিড় জমাচ্ছেন সকল বয়সের মানুষ।
৫ থেকে ১৪ জানুয়ারি প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এ পিঠা উৎসব। এছাড়াও প্রতিদিন থাকবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।