ছবি- সংগৃহীত
গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে পদাবনতি দেওয়ার ঘটনাকে ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিয়া রহমান। সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সামিয়া রহমান বলেন, বলির পাঁঠা হযেছি আমি। ট্রাইব্যুনাল নিজে বলেছে, ন্যায় বিচার হয়নি। তারা এমন সুপারিশ করেনি। সামিয়া ন্যায় বিচার পায়নি। গবেষণায় নকলের অভিযোগে পদাবনতি ষড়যন্ত্রমূলক। ক্ষমতার বলে যে যার মতো তথ্য দিচ্ছে। এগুলো মিথ্যা, বানোয়াট, সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।
গত ২৮ জানুয়ারি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এই শিক্ষককে সহযোগী অধ্যাপক থেকে এক ধাপ নামিয়ে সহকারী অধ্যাপক করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির শাস্তি হিসেবে এই সিদ্ধান্ত বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। সামিয়া রহমান বলেন, এ ঘটনার জন্য জার্নালের রিভিউয়ার ও বোর্ডের শাস্তির সুপারিশ ছিল। তাদের শাস্তি হয় না, কারণ তারা প্রতিষ্ঠিত বলে বিশ্ববিদ্যালয় তা সুকৌশলে এড়িয়ে যায়।
তিনি বলেন, প্রতিহিংসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাজনীতির নোংরামির চরম শিকার হলাম আমি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী বলেছেন, এটা চৌর্যবৃত্তি না। লেখকদের সতর্ক করে দেওয়া হোক। ট্রাইব্যুানল বলছে, এটা মেথোটিক্যাল এরর। তাহলে সিন্ডিকেট কার সুপারিশে এমন সিদ্ধান্ত নিলো।
সামিয়া রহমান বলেন, গত চার বছর ধরে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনে আসছেন। আমার পক্ষ থেকে কেনও বক্তব্য পাননি। এর ব্যাখ্যা আছে। আমার এবং মারজানের নামে অভিযোগ আসে। এই অভিযোগ নিয়ে হইহই পড়ে যায়।
অভিযোগটি তদন্তে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) নাসরীন আহমাদকে প্রধান করে একটি কমিটি করে সিন্ডিকেট। ২০১৯ সালে তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে সামিয়া-মারজানের চৌর্যবৃত্তির অভিযোগটির সত্যতা পাওয়ার কথা জানানো হয়।পরে বিষয়টি নিয়ে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বহুমাত্রিক.কম