বগুড়া : বাল্যবিয়ে যাদের প্রতিরোধ করার কথা। এর কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা যাদের দায়িত্ব এবং এই কর্তব্য পালনে যারা সরকারের নিকট অঙ্গীকারাবদ্ধ। সেই সব জনপ্রতিনিধিদের প্ররোচনায় বাল্যবিয়ে দেয়া হয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে বগুড়া শাজাহানপুরের রাজারামপুর গ্রামে।
প্রশাসনের চোখকে ফাকি দিয়ে শুক্রবার ১৪ জুন গোপনে এ বিয়ের অনুষ্ঠানা সম্পন্ন করা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার রাজারামপুর গ্রামের আবদুল মোমিনের মেয়ে নাইচ (১৩) কে বিয়ে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এসব তথ্য জানার জন্য ওই বাড়ীতে গেলে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে নাইচের বাবা সটকে পড়েন আর মা জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মামুনুর রশিদ শহীদ, মহিলা ইউপি সদস্য, আমরুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান অটল এবং তার বড়ভাই মোঃ রোকনুজ্জামান লোটাস এই বিয়ের অতিথি ছিলেন।
বয়স জানার জন্য মেয়েটির জন্ম নিবন্ধন কার্ড দেখতে চাইলে তা দেখাতে অপরারগতা প্রকাশ করে বলেন, যা দেখার চেয়ারম্যান মেম্বাররা দেখেছে এবং বলেছে অসুবিধা নাই প্রশাসনকে তারা ম্যানেজ করতে পারবেন। স্থানীয়রা জানান, ইউপি সদস্য শহীদ এই বিয়ের খাওয়া-দাওয়া হতে শুরু করে বিয়ের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেন এবং জনপতিনিধিদের উপস্থিতিতেই বিয়ের সকল কার্যাদী সম্পন্ন করা হয়।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য মোঃ মামুনুর রশিদের নিকট জানতে চাইলে তারা জানান, এতে অসুবিধা নাই এসব দেখা যাবে। আর আমরুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান অটল বিয়েতে উপস্থিত থাকার কথা অস্বীকার করেন তবে বিয়ে হয়েছে সেটি তিনি জানেন বলে জানান।
বহুমাত্রিক.কম