ঢাকা : কার্যকরী পরিষদের সভার মাধ্যমে শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে ডাকসুর কার্যক্রম। মেয়েদের ১টি হল বাদে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদগুলোতে অধিকাংশ পদে সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা নির্বাচিত হওয়ায় সুষ্ঠুভাবে নিজের দায়িত্ব পালন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অরাজনৈতিক ও স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধিরা।
তবে ছাত্রলীগ বলছে, ছাত্রদের অধিকার আদায়ে সংখ্যায় কম হলেও প্রাধান্য দেয়া হবে বিরোধী মতকে।
২৮ বছর পর ছাত্র প্রতিনিধি পেয়েছে ডাকসু। তাদের কাজ শুরুর জন্য চলছে জোর প্রস্তুতি। ঠিক করা হচ্ছে ভিপি, জিএসসহ অন্য সম্পাদকদের জন্য নির্ধারিত কক্ষগুলো। মধুর ক্যান্টিন ঘিরে চোখে পড়ছে ছাত্রনেতাদের সদলবল উপস্থিতি। তবে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে ক্যাম্পাসে এখনও চলছে নানা কর্মসূচি।
ডাকসুর নির্বাচিত ভিপি নুর বলেন, উপাচার্যের পর চীফ এক্সিকিউটিভ হিসেবে সহ সভাপতির ক্ষমতা রয়েছে। সুতরাং চাইলে সহ সভাপতি উপাচার্যের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে কমিটি বাতিল করতে পারে।
স্বতন্ত্র হল-ভিপি এমি বলেন, শঙ্কা আসলে শুরু থেকেই ছিল। যদি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোনরূপ বাধাপ্রাপ্ত হই তবে আমরা কাউকেই তোয়াক্কা করবো না।
অবশ্য ছাত্রলীগ বলছে গুরুত্ব দেয়া হবে বিরোধী মতকে। ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম বলেন, আমরা সংখ্যার মধ্য দিয়ে জোর ফলানোতে বিশ্বাস করি না। এখানে সবার মতামতকেই গুরুত্ব দেয়া হবে।