ছবি- সংগৃহীত
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি লেখক মুসতাক আহমেদের মৃত্যুর দায় কি সরকার এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার লেখক মোশতাক আহমেদ ২৩ ফেব্রুয়ারিও জামিন পাননি। বৃহস্পতিবার বন্দী অবস্থায় মারা গেলেন। এটা কি এক ধরনের হত্যাকাণ্ড নয়? শুক্রবার তোপখানায় ভাষা আন্দোলনের চিত্র প্রদর্শনি শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
লেখক মুসতাকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া বলেন, মোসতাকের মৃত্যুর দায় সরকার তথা রাষ্ট্রকেই গ্রহণ করতে হবে। নিরপেক্ষ তদন্ত করে এই মর্মান্তিক ঘটনার বিচার জরুরি। সরকারের সমালোচনা করে নিজের ফেসবুকের টাইমলাইনে কার্টুন শেয়ার করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তারের পর তিনি দূর্বল, বেশ অসুস্থ বলে অনেকবার তার জামিন চাওয়া হয়েছিল। সরকার তার এই সমালোচককে জামিনের অযোগ্য মনে করেছে। দু:খজনক, জামিনা না হলেও কারাগারেই মারা গেছেন মুশতাক আহমেদ। যে দেশে খুনের দায়ে সাজা প্রাপ্ত আসামীর জামিন হয়, সে দেশে সরকারের সমালোচনার কারনে একজন লেখেকের জামিন হয় না, যা দু:খজনক।
তিনি বলে, মহান ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে যে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেখানে আজ ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলন্ঠিত। এই ভাষার মাসেই একজন লেখকের জেলে মৃত্যু রাষ্ট্রের জন্য কতটা লজ্জাজনক তা কি শাসকগোষ্টি অনুভব করছেন। লেখক মোসতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যুই কি ভাষার মাসের শ্রেষ্ট উপহার। তার বৃদ্ধ বাবা-মা এবং মানসিক ভারসাম্যহীন স্ত্রীকে সান্তনা দেবে কে?
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এনামুজ্জামান চৌধুরী, গণ রাজনৈতিক জোট-গর্জোর সভা প্রধান সৈয়দ মঈনুজ্জামান লিটু, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা প্রমুখ।
বহুমাত্রিক.কম