Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

চৈত্র ১৩ ১৪৩০, শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

লিবিয়ায় গুলিতে নিহতদের ৮ জন ভৈরবের

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:২৬, ৩০ মে ২০২০

প্রিন্ট:

লিবিয়ায় গুলিতে নিহতদের ৮ জন ভৈরবের

ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন পুরণ হলো না ভৈরবের আট যুবকের। গত মঙ্গলবার লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে স্থানীয় এক মানবপাচারকারীর পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় ভৈরব উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আটজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার তাদের নাম-পরিচয় জানা গেছে।

ভৈরবের নিহতরা হলেন, সাদেকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মিয়াচান মিয়ার বাড়ির মেহের আলীর ছেলে মো. আকাশ, মোটুপী গ্রামের খালপাড় এলাকার আব্দুল আলীর ছেলে সোহাগ মিয়া, কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের আকবরনগর গ্রামের জিন্নত আলীর ছেলে মাহাবুব, শ্রীনগর ইউনিয়নের শ্রীনগর গ্রামের বাচ্চু মিলিটারির ছেলে সাকিব। বাকিরা শুম্ভপুর গ্রামের জানু মিয়া, মামুন মিয়া, সাদ্দাম মিয়া ও মোহাম্মদ আলী।

লিবিয়ায় নিহত আকাশের বড় ভাই মোবারক জানান, দেড় বছর আগে পরিবারের ভরণপোষণের জন্য লিবিয়ায় যায় তার ভাই। সেখানে কাজ করার সময়ে ভৈরবের শ্রীনগর গ্রামের এক দালাল তানজীরের মাধ্যমে লিবিয়ার বেনগাজি হতে ত্রিপলী হয়ে ইতালি যাওয়ার জন্য কথাবার্তা হয়। তারা ইতালিতে পৌঁছানোর পর তিন-চার লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

তিনি বলেন, ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার কিছু দিন পর তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেনি। হঠাৎ ২৭ মে সন্ধ্যায় সামাজিকমাধ্যমে ইমোতে একটি ভয়েস মেসেজ আসে। সেখানে জানতে পারেন তার ভাই বলছে ‘আমাকে বাঁচাও, আমাকে মেরে ফেলবে’।

পাচারকারীরা আকাশের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে। যদি না দেয় তাহলে তাদের মেরে ফেলবে। এরপর থেকে আর তাদের কোনো খোঁজ মেলেনি।

বাংলাদেশ সরকারের কাছে লিবিয়ায় নিহত আকাশের বড় ভাই মোবারকের দাবি, শেষবারের মতো যেন তার ছোট ভাইয়ের মুখটা দেখতে পারে সেই ব্যবস্থা করার।

নিহত সোহাগের বাবা আব্দুল আলী জানান, এক বছর আগে লিবিয়ায় যান তার ছেলে। সেখানে কয়েক মাস থাকার পর ভৈরবের শ্রীনগর গ্রামের পূর্বপাড়ার সোনা মিয়ার ছেলে তানজীরের মাধ্যমে ইতালি যাওয়ার জন্য তিন লাখ টাকার মাধ্যমে চুক্তি করে। ইতালিতে পৌঁছানোর পর টাকা পরিশোধ করতে হবে। তারপর থেকে তার ছেলের আর খোঁজ মেলেনি।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer