আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন না করা হলে বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শনিবার এক আদেশে এ কথা জানায় তারা।সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে মোট ১৫ হাজারেরও বেশি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগোনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশেরই বৈধ লাইসেন্স নেই।
২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের নিবন্ধন ফি এবং নিবন্ধন নবায়ন ফি ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার ও সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এরপর পাঁচ হাজার হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগোনস্টিক সেন্টার লাইসেন্স করে। বাকিরা লাইসেন্স নবায়ন করতে আসেনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর ক্লিনিক ও ডায়াগোনস্টিক সেন্টারগুলোর লাইসেন্স নবায়নের জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্র, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিস্তারিত বিবরণ, সিটি করপোরেশনের ছাড়পত্র, কর সার্টিফিকেট এবং অন্যান্য নথি প্রয়োজন। এর আলোকে এসব হাসপাতালকে নিয়মিত নোটিস দেওয়ার পাশাপাশি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু এসব কাগজপত্র দিতে পারে না বলে লাইসেন্স নবায়ন করতে আসে না বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠান।
এ অবস্থায় আইন অনুযায়ী বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগোনস্টিক সেন্টারগুলোকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অবৈধ ঘোষণা করার কথা। অভিযোগ রয়েছে, অধিদপ্তরের কার্যকর কোনো ভূমিকা না থাকায় অবৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এসব সেন্টার।
এক্ষেত্রে জনবলের ঘাটতিও একটি বড় কারণ বলে উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। সূত্রটি জানায়, ঢাকার প্রায় পাঁচ হাজার ক্লিনিক ও ডায়াগোনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সের বিষয়টি দেখার জন্য মাত্র তিন জন কর্মকর্তা রয়েছেন।
২০১৪ সালে রিজেন্ট হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি জানা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাসপাতালটির সঙ্গে চুক্তি করার বিষয়টি সম্প্রতি জনসম্মুখে আসে। এরপর থেকেই লাইসেন্স নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ ঘোষণা এলো।