অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ২৫ এপ্রিল ঢাকার সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ১০ বছরের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এরপর তাকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আর এ নির্দেশ অনুযায়ী এখন রোববার বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছেন তিনি।
হাজী সেলিমের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা শনিবার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১০ বছরের কারাদণ্ড বহালের রায় হাইকোর্ট থেকে বিচারিক আদালতে পাঠানো হয় গত ২৫ এপ্রিল। যেখানে তাঁকে এক মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
কিন্তু আত্মসমর্পণ না করে চিকিৎসার কথা বলে বিদেশে যান তিনি। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে সমালোচনার মাঝে দেশে ফেরেন হাজী সেলিম।
দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েও হাজী সেলিমের বিদেশে যাওয়ার বিষয়টিকে বেআইনি বলে জানান দুদকের আইনজীবি।
দুদক আইনজীবী বলেন, আদালতের অনুমতি না নিয়ে দণ্ডিত আসামির বিদেশ যাওয়া বেআইনি।
তবে দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক এ সংসদ সদস্যের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, এখানে আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি।
আওয়ামী লিগের টিকেট নিয়ে সংসদ সদস্য হওয়া হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন এবং ৫৯ কোটি ৩৭ লাখ ২৬ হাজার ১৩২ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর লালবাগ থানায় মামলা করে দুদক।
ওই মামলায় ২০০৮ সালে হাজী সেলিমকে দুদক আইনের দুটি ধারায় মোট ১৩ বছর কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত।
কিন্তু ২০০৯ সালে হাজী সেলিম বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১১ সালে ওই সাজা বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় শুনানি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। নির্দেশ অনুযায়ী ২০২০ সালের মামলাটি শুনানির জন্য উদ্যোগ নেয় দুদক।
ফের শুনানি শেষে গত বছরের ৯ মার্চ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। রায়ে আংশিক আপিল মঞ্জুর করে ১০ বছর কারাদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন আদালত। আর ৩ বছরের দণ্ড থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।
এদিকে তথ্য গোপনের অভিযোগে তিন বছরের সাজা থেকে হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের বিরুদ্ধে ১০ মে আপিল করেছে দুদক। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করা হয়।