বরগুনা: বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে জেলা ও উপজেলা শহরসহ, আদালত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমানের এ রায় ঘোষণার কথা রয়েছে।
গত ১৪ অক্টোবর এ মামলায় দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বিচারক মো. হাফিজুর রহমান রায় ঘোষণার জন্যে মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দিন ধার্য করেন।
বরগুনা শিশু আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, ‘রিফাতের রায়ের দিকে গোটা দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে সমর্থ হয়েছে। প্রত্যেক আসামির সর্বোচ্চ সাজা হবে বলে আমরা আশাবাদী। ’
রায়কে ঘিরে সোমবার রাত থেকে বরগুনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সজাগ দৃষ্টি রাখছে পুলিশ। এছাড়া র্যাব সদস্যদের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও টহল দিচ্ছে বরগুনায়।রায়কে ঘিরে যেকোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়াটার্স) মহরম আলী।
তিনি বলেন, ‘রায়কে ঘিরে বরগুনায় নিরাপত্ত ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জেলাজুড়ে সজাগ দৃষ্টি রাখছে পুলিশ সদস্যরা। বিশেষ করে আদালত প্রাঙ্গণে থাকবে আমাদের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী। সরকারি গাড়ি ছাড়া কোন যানবাহন আদালত প্রাঙ্গণে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ’
গত বছরের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে বন্ড বাহিনী নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে রিফাত শরীফকে। এ হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূতেই দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন বিকেলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান রিফাত শরীফ।
ঘটনার পরের দিন ২৭ জুন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। পরে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে দুটি তদন্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) দাখিল করে পুলিশ। এদের মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক আসামি এবং ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। একইসঙ্গে রিফাত হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি নয়নবন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।