বনানীর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী। শনিবার বাদ জোহর কবরীকে দাফন করা হয় বনানীর কবরস্থানে এর আগে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয় মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক এই সংসদ সদস্যকে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে প্রয়াত হন বাংলা সিনেমার অপ্রতিদ্বন্ধী নায়িকিা কবরী। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের পরিচালনায় ‘সুতরাং’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে নাম লেখান দেশ বরেণ্য অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী। এরপর ‘বাহানা’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘রংবাজ’, ‘সারেং বউ’, ‘সুজন সখী’সহ অসংখ্য কালজয়ী সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি।
অভিনয়ের পাশাপাশি সিনেমা প্রযোজনাও করেছেন এই অভিনেত্রী। পরিচালক হিসেবে নির্মাণ করেছেন সিনেমা৷ দীর্ঘ ১৪ বছর পর দ্বিতীয় সিনেমা তৈরিতে হাত দিয়েছিলেন। ‘এই তুমি সেই তুমি’ নামের ছবিটি পরিচালনার পাশাপাশি এর কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করেছেন তিনি। তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ছিল ‘আয়না’। অভিনয় ও নির্মাণের পাশাপাশি লেখালেখিও করেন কবরী। ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয়েছে তার লেখা আত্মজীবনী ‘স্মৃতিটুকু থাক’।
১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলাতে জন্মগ্রহণ করেন কবরী সারোয়ার৷ জন্মস্থান বোয়ালখালী হলেও শৈশব ও কৈশোর বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম নগরীতে।। তার আসল নাম মিনা পাল৷ পিতা শ্রীকৃষ্ণ দাস পাল এবং মা শ্রীমতি লাবণ্য প্রভা পাল৷ ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে আবির্ভাব কবরীর৷
