ঝালকাঠি : ঝালকাঠির রাজাপুরে বড়ইয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির (রোল-১৮) এক ছাত্রীকে টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকালে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য স্বপ্না আক্তার নামের ওই মেধাবী ছাত্রী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিন তাকে পরীক্ষায় অংশ নিতে বাধা দেন। স্বপ্না বড়ইয়া ইউনিয়নের পালট গ্রামের মো. ইকবাল হাওলাদারের মেয়ে।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পেরে ওই ছাত্রী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
স্বপ্না আক্তার বলে, `আমাদের ইউনিয়নের অন্য একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আমার ছোট বোন রিপা আক্তার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। ওই বোনকে আমার বিদ্যালয়ে (বড়ইয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়) ভর্তি করার জন্য আগে থেকেই চাপ দিয়ে আসছিলেন আমার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিন। কিন্তু বোনকে আমার বিদ্যালয়ে ভর্তি না করায় আমাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় আমাকে ফরম পূরণ করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।`
স্বপ্না আক্তার আরো বলে, `আমি পরীক্ষা দিতে চাই। যে বিদ্যালয়ে আমি দীর্ঘদিন পড়ালেখা করেছি সেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এমন আচরণ দুঃখজনক। আমার শিক্ষা জীবন রক্ষা করতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাই।` এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়ে স্বপ্না।
এ ব্যাপারে বড়ইয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, `আমরা কাউকে আমাদের বিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর জন্য চাপ দেইনি। ওই ছাত্রী নিয়মিত বিদ্যালয়ে না আসার কারণে তাকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।`
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা বেগম পারুল বলেন, `অভিযোগ পেয়েই প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছি। আজকের পরীক্ষা পরবর্তীতে নেওয়া হবে এবং আগামী দিন থেকে সে নিয়মিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে বলে নির্দেশ দিয়েছি।`
বহুমাত্রিক.কম