রাজধানীসহ সারাদেশে শীতের তীব্রতার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। গত সপ্তাহের তুলনায় রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে ১৫ ভাগ বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। শিশু হাসপাতালে খালি নেই একটি শয্যাও। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বৃষ্টি না হলে সামনের দিনগুলোতে কিছুটা কমবে শীতের মাত্রা।
এদিকে শনিবার কনকনে বাতাস ও ঘন কুয়াশায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। ছন্দপতন ঘটছে স্বাভাবিক জীবনের। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খুলনা ও রাজশাহীতে ৮ দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনের বেলায় সন্ধ্যার আবহ রংপুরে। কুয়াশার চাদরে ঢাকা চারপাশ। কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়া উত্তরের জনপদে বাড়িয়ে দিয়েছে শীত। দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে গাড়ি। অন্যদিকে, হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে নওগাঁর ছিন্নমূল মানুষের কষ্টটা একটু বেশিই। সরকারের পক্ষ থেকে তাই গরম কাপড় দেবার অনুরোধ জানিয়েছেন রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ঠাঁই নেওয়া অসহায় মানুষ।
এদিকে রাজধানীর হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত শিশু রোগীর সংখ্যা। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ১৮ দিনের মিমকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে এসেছেন বাবা-মা। একই অবস্থা দেড় বছরের আব্দুল্লাহ, ৭ মাসের মুক্তাসহ হাজারো শিশুর। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টের মতো শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় হু হু করে বাড়ছে হাসপাতালে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে রাজধানীর হাসপাতালগুলো। শুক্রবার গিয়ে দেখা যায় ৬৬৪ শয্যার ঢাকা শিশু হাসপাতালের একটি শয্যাও খালি নেই। অনেক রোগীকে শয্যার অভাবে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে অন্য হাসপাতালে।
এদিকে চলতি মাসের শেষ দিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।তবে বৃষ্টি না হলে রাজধানীতে শীতের প্রকোপ কমবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ।