ছবি : ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশন
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রাখাইনের বাস্তুচ্যুতদের জন্য ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা কক্সবাজারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া)-কে ১.১ মিলিয়ন লিটার সুপার কেরোসিন তেল এবং ২০ হাজার কেরোসিন স্টোভ হস্তান্তর করেছেন।
পরে মন্ত্রী ও হাই কমিশনার কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে বাস্তুচ্যুত মানুষদের মাঝে এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে নয়াদিল্লীর বিদেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (বাংলাদেশ, মিয়ানমার)বিক্রম দোরাইস্বামীও উপস্থিত ছিলেন। এটি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বাস্তুচ্যুত মানুষের প্রয়োজন মেটানোর লক্ষ্যে ভারত সরকার ও ভারতীয় জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে দেয়া মানবিক সহায়তার তৃতীয় পর্যায়।
কেরোসিন তেল ও চুলা স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত জ্বালানি কাঠের চাহিদা কমিয়ে বাস্তুচ্যুত মানুষদের জ্বালানি চাহিদা পূরণ করবে এবং বাংলাদেশে পরিবেশ সংরক্ষণে অবদান রাখবে। বাংলাদেশ সরকারের চাহিদা অনুসারে এই সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে "অপারেশন ইনসানিয়াৎ" এর অধীনে ভারত সরকার মানবিক সহায়তার প্রথম পর্যায়ে ৯৮১ মেট্রিক টন ত্রাণসামগ্রী প্রদান করে। এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল প্রায় ৩ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষের জরুরী প্রয়োজন মেটানোর জন্য চাল, ডাল, চিনি, লবণ, রান্নার তেল, চা, নুডলস, বিস্কুট, মশারী ইত্যাদি।
২০১৮ সালের মে মাসে, চট্টগামে ৩৭৩ মেট্রিক টন ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করা হয় যার মধ্যে ছিল ১০৪ মেট্রিক টন গুড়ো দুধ, ১০২ মেট্রিক টন শুঁটকি, ৬১ মেট্রিক টন শিশুখাদ্য এবং বর্ষা মৌসুমে ব্যবহারের জন্য ৫০ হাজার রেইনকোট ও ৫০ হাজার জোড়া গামবুট ।