যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৩১ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের মধ্যে সাংবাদিক, চিকিৎসক, ব্যাংকারসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ আছে। বৃহস্পতিবার সকালে যবিপ্রবি’র এনএফটি বিভাগের চেয়ারম্যান ডক্টর শিরিন নিগার এই ফল প্রকাশ করেন।
তিনি আরো জানান, বুধবার ল্যাবে যশোরের ১৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৯ জনের, মাগুরার ৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩১ জনের এবং নড়াইলের ৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২১ জনের নমুনাতে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ যবিপ্রবির ল্যাবে ২৭০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩১ জনের করোনা পজিটিভ এবং ১৩৯ জনের নেগেটিভ ফলাফল এসেছে।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, বৃহস্পতিবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে যশোর জেলার ১৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৯ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত দুই হাজার ছাড়িয়েছে।
জেলায় শনাক্তকৃত ৭৯ জনের মধ্যে সদর উপজেলার ১৮ জন, শার্শা উপজেলার ৬ জন, ঝিকরগাছা উপজেলার ১২ জন, অভয়নগর উপজেলার ২ জন, কেশবপুর উপজেলার ৯ জন, চৌগাছা উপজেলার ১২ জন, বাঘারপাড়া উপজেলার ১০ জন এবং মণিরামপুর উপজেলার ১০ জন রয়েছেন।
সদর উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে আছেন, দৈনিক স্পন্দনের স্টাফ রিপোটার রিমন খান (৫২) ও আশা খান (৬৩), রেলগেটের নাসরিন সুলতানা (৫০), লেবুতলার আব্দুল খালেক (৬০), বেজপাড়া মেইন রোড এলাকার জাহানারা বেগম (৭৬), রিফাত জাহান খান (৪৪), নিরুপমা বড়াল (৪৭), মৌমিতা বড়াল (২৪), উত্তম কুমার বড়াল (৬৯), মুক্তি চক্রবর্তী (৫০), সুশান্ত দে (৪০) এবং অহনা (৩), লোন অফিস পাড়ার শেখ নাইমুদ্দিন (৫৭), লোহাপট্টির শাহনাজ পারভিন (৬০), উপশহরের খলিলুর রহমান (৬৫), উপজেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মিজানুর রহমান (৫৫), যশোর মেডিকেল কলেজের গাইনী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রবিউল ইসলাম (৫৮) এবং বারান্দীপাড়ার আব্দুল গণি (৪৭)।
চৌগাছা উপজেলায় আছেন, বিশ্বাস পাড়ার আনিসুজ্জামান (৪৫), কমলাপুরের তানভির আহমেদ (২৫) ও সবুর খান (২৫), সোনালী ব্যাংকের মোতাসিম বিল্লাহ (৩৫), সিংহঝুলির তহিদুল ইসলাম (৩১), গোলহাটির জোহরা বেগম (৫৩), মৃধাপুরের আনিসুর রহমান (৫৬), ছোট কাকুঁড়িয়ার ফারুক (৩৫), উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমরান হোসেন (৩৯), তারনিবাসের এরশাদ আলী (৭৪) ও রোকেয় বেগম (৬০) এবং মেহেদী হাসান নামের অজ্ঞাত এক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন।
কেশবপুর উপজেলায় আছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আব্দুল হামিদ (৪২), মেহেদী হাসান রিপন (৩৮), দেবাশিষ দেবনাথ (৪০) ও মিজানুর রহমান (৩৩), সোনালী ব্যাংকের সুমন কুমার রায় (৩০), বেটিখোলার রুহুল কুদ্দুস (৩০), কলেজ পাড়ার আহসান হাবিব (২৯) ও কেশবপুর বাজারের খলিলুর রহমান (৩৮)। এছাড়া কেশবপুরে নমুনা প্রদানকারী মণিরামপুরের হাসান আলী(৫০)।
অভয়নগর উপজেলায় আছেন, বারান্দির আজিজুর রহমান (৪৮) এবং ভাটপাড়ার তাসকিদুর রহমান (৩৫)।
বাঘারপাড়া উপজেলায় আছেন, জামালপুরের আব্দুল আজিজ (৬০), কয়েলখালির কামাল হোসেন (৪৫), দোহাখুলার হারুন বিশ্বাস (৫০) ও হুমায়ুন কবির (৩৮), মহিরনের সজিবুর আলম (৪৪), মোস্তাক হোসেন (৪০), শংকর বণিক (৫২) ও বাবুল গাজী (৫৫), বান্দোবিলার মামুনুর রশিদ (৫৬) এবং নারিকেল বাড়িয়ার বেগম ফরিদা (৪৫)।
ঝিকরগাছা উপজেলায় আছেন, সোনাকিরোর কামাল হোসেন (৩৫), লক্ষিপুরের হাসান কাদের (৩৬), কৃষ্ণনগরের মিজানুর রহমান (৫৭), মাসুমা পারভিন (৩১), কাইসান হাবিব (৪), ফাইরুজ মালিহা (১৪), শেখ শাহরিয়ার হাবিব (৩৬), শেখ ইতিহাত ইমাম (৬), তানিয়া আফরোজ (৩৭), শেখ ইমামুল হাবিব (৭০) ও শিফাত শবনম (১৩), মিস্ক্রিদিয়াড়ার উম্মে হাবিবা (৪৬)।
শার্শা উপজেলায় আছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফাইমা খাতুন (৩২) ও শেফালি রানি দাশি (৫৬), বেনাপোলের সাবিকুন নাহার (৩৮) ও আসগর আলী (৫৫), নিজামপুরের দ্বীপ (১৮) এবং গোরপাড়ার হাবিবুর রহমান (২২)।
মণিরামপুরে উপজেলায় আছেন, খেদাপাড়ার রিনা ব্যানার্জী (৫০), চন্দনা ব্যানার্জী (৩২) ও হ্যাপি রায় (৪৫), মণিরামপুর বাজারের হিমাংশু বিশ্বাস (৫৫) ও রেখা সাহা (৬৫), আলতাপোলার তপন পাল (৫৬), কমলাপুরের রামকৃষ্ণ শীল (৬২) ও রীতা রানি (৫৪), মোহনপুরের রোজিয়া সুলতানা (৩৮) এবং পাটানের আব্দুর রাজ্জাক (৩৮) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রশাসন থেকে আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউনের প্রস্তুতি চলছে।