যশোর : যশোর শহরতলীর শেখহাটি কাজী ছাত্রবাসে অভিযান চালিয়ে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৫ রাউন্ড গুলি, ৫টি বোমা, ৫টি ধারালো অস্ত্র, মদ, গাঁজা ও ইয়াবাসহ তিন কলেজছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা-হলো যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক ইসলাম, ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আবু হেনা রোকন ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র রাফিউন।
যশোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রব্বানী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার নেতৃত্বে কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম শেখহাটি কাজী ছাত্রবাসে অভিযান চালায়। এ সময় ছাত্রবাসের একটি কক্ষ থেকে একটি পিতলের শর্টগান, একটি ওয়ান শ্যুটার গান, ৫ রাউন্ড গুলি, ৫টি বোমা, তিনটি চাকু, দুটি রামদা, ৯টি রড, এক বোতল মদ, ৫টি খালি মদের বোতল, ১শ’ পিস ইয়াবা ও কয়েক পোটলা গাঁজা, দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
একইসাথে ওই কক্ষ ব্যবহারকারী তিন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয় বলে জানান তিনি।
গোলাম রব্বানী আরও জানান, আটকদের মধ্যে তৌফিক ইসলাম মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে, রাফিউন একই গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে এবং আবু হেনা রোকন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বোরাখারাটি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। আটকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অস্ত্রগুলোর মূল মালিক শেখহাটি এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি পালিয়ে যান। আটকদের সঙ্গে তাকেও মামলার আসামি করা হবে।
ওই ছাত্রবাসটি জুয়েল ও তার সহযোগীদের গোপন আস্তানা ও অস্ত্রভাণ্ডার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এছাড়াও সেখান থেকে অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানের সিন্ডিকেট পরিচালনা করা হত বলে দাবি পুলিশের এ কর্মকর্তার।
রাত ১টার দিকে অভিযান সাময়িক স্থগিত করা হলেও আজ পুনরায় ওই মেসে তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বহুমাত্রিক.কম