যশোর : করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতা অবলম্বনসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও ঘরে থাকার সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে যশোরে ভ্রাম্যমান যৌনকর্মীরা অবাধে বিচরণ করছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া মানুষেরা করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ঘরে থাকছেন সেখানে শহর এলাকার অলিগলিতে নেমে আসছে ভ্রাম্যমান যৌন কর্মীরা।
এদের মধ্যে কিছু সংখ্যক পায়ে হেঁটে তাদের চুক্তিবদ্ধ রিকশাযোগে বিভিন্ন স্থানে ছুটোছুটিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। সংক্রামক ভাইরাসবাহিত এই ব্যাধি ছড়াতে ভ্রাম্যমান যৌন কর্মীরা হুমকি হয়ে উঠছেন। যশোর শহরের গরীবশাহ রোডস্থ ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমেদ জানান, যশোর শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সন্ধ্যা হলে নেমে আসছেন যৌনকর্মী। এদের মধ্যে কয়েকজন পায়ে হেঁটে শহরের বিভিন্ন রাস্তা ধরে চলাফেরা করে আবার কিছু সংখ্যক তাদের নির্দিষ্ট চুক্তিবদ্ধ রিকশাযোগে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে চলন্ত অবস্থায় খদ্দের সংগ্রহে তৎপর।
সন্ধ্যারাত সাড়ে ৭ টার পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত ভ্রাম্যমান যৌনকর্মী অবস্থান নিয়ে তাদের পেশায় লিপ্ত হয়ে ওঠে। তবে সহানুভূতিশীল কেউ কেউ বলছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রামক হলেও এসব যৌনকর্মীরা পেটের দায়ে তাদের পেশায় লিপ্ত হচ্ছেন। যশোরের যৌনপল্লীর যৌনকর্মীদের করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন ইতিমধ্যে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে লক ডাউন করে দেয়।
প্রায় ৯ দিন যাবত যশোরের মাড়োয়াড়ি মন্দির সংলগ্ন তিনটি ও বাবু বাজার পতিতালয় দু’টি গলি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা সর্তকর্তা হিসেবে বাইরে থেকে তালা মেরে লক ডাউন করে দেয়। তবে যশোরে ভ্রাম্যমান যৌনকর্মী নিয়ে যশোরের বিভিন্ন এনজিও কাজ করলেও করোনা ভাইরাস মোকাবেলা ও প্রতিষেধক হিসেবে তাদেরকে কোন সহায়তার হাত বাড়ায়নি। তাই ভ্রাম্যমান যৌনকর্মীরা যশোর শহরের বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে করোনা ভাইরাস ছড়াতে এগিয়ে।
বহুমাত্রিক.কম
