Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১১ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

মেয়র হানিফের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:০৫, ২৮ নভেম্বর ২০২১

প্রিন্ট:

মেয়র হানিফের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য হানিফ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার পর অসুস্থ অবস্থায় ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর ইন্তেকাল করেন।

তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী পৃথক বাণী দিয়েছেন।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন সকাল ১০টায় আজিমপুর কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আজিমপুরস্থ মেয়র মোহাম্মদ হানিফ জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনসহ সব স্তরের মানুষ এ শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেবেন।

মেয়র মোহাম্মদ হানিফের পঞ্চদশ মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন পরীক্ষিত নেতা। সততা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের গুণে রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি পদে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সফল একজন মানুষ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল থেকে আওয়ামী লীগের একজন সংগ্রামী নেতা হিসেবে আমৃত্যু জনগণের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন দুঃখী মানুষের আপনজন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হলে তিনি মানবঢাল রচনা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে রক্ষার প্রাণান্তকর চেষ্টা চালান। এতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। তার আত্মত্যাগের এ উদাহরণ সব রাজনৈতিক নেতাকর্মীর জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, মোহাম্মদ হানিফ বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা ঘোষণার সময় থেকে জাতির পিতার একান্ত সহকারী হিসেবে অত্যন্ত একাগ্রতা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধসহ স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এই জননেতা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। আওয়ামী লীগ তথা বাংলাদেশের একজন নিবেদিতপ্রাণ, ত্যাগী, পরীক্ষিত এবং দেশপ্রেমিক নেতা হিসেবে মোহাম্মদ হানিফ মানুষের হৃদয়ের গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বেঁচে থাকবেন। মোহাম্মদ হানিফের সংগ্রামী জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্মীদের দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করবে।

স্পিকার শিরীন শারমিন তার বাণীতে বলেন, মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন একজন প্রজ্ঞাবান, বিচক্ষণ ও দেশপ্রেমিক ব্যক্তিত্ব। মানবকল্যাণমূলক চিন্তাধারা, পরিকল্পনা ও উদ্যোগ বাস্তবায়নে অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন। মেয়র হিসেবে ঢাকাবাসীর জন্য নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণে তার প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবিদার। তার অবদান ঢাকাবাসী আজও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে।

১৯৪৪ সালের ১ এপ্রিল পুরান ঢাকার আবদুল আজিজ ও মুন্নি বেগম দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ হানিফ। ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পেয়ে ছয় দফা মুক্তি সনদ প্রণয়ন ও প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৬৭ সালে তার প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে কন্যা ফাতেমা খাতুনকে মোহাম্মদ হানিফের সঙ্গে বিয়ে দেন ঢাকার শেষ সরদার আলহাজ মাজেদ সরদার।

মেয়র হানিফ এক ছেলে ও দুই কন্যাসন্তান রেখে গেছেন। ছেলে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer