ছবি- বহুমাত্রিক.কম
গাজীপুর: বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বক্তব্যের ‘৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন’-এর বিষয়টি নিয়ে চরম অবমূল্যায়ন করে মন্তব্য করায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত আছে।
বুধবার বেলা ১১টায় গাজীপুর প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা দলীয় সকল পদ থেকে তাঁর বহিষ্কার দাবি করেন। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতা বিরোধী বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে তাঁকে (মেয়র জাহাঙ্গীর) মেয়র পদ থেকেও অপসারণের দাবি তুলেন। গাজীপুর প্রেস ক্লাব -এর সভাপতি মোঃ মাসুদুল হক এতে সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজক প্রতিষ্ঠান গাজীপুর প্রেস ক্লাব-এর সাধারণ সম্পাদক রাহিম সরকারের সঞ্চালনায় পরিচালিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- দৈনিক গণমুখ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা জাবেদ আলী জবে ও শাহজাহান মিয়া সাজু, আইয়ুব রানা, মোবারক হোসেন, আলমাছ মোল্লা, আফসার উদ্দিন, অধ্যাপক এনামুল হক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কমী সৈয়দ মোকছেদুল আলম (লিটন) ও সাদেক আলী প্রমুখ। শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ পাওয়ায় একটি আনন্দ র্যালি করা হয়।
প্রসঙ্গত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্য এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীর আলমের অবাঞ্ছিত মন্তব্যের একটি অডিও-ভিডিও-র কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ায় গাজীপুরে উত্তাপ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীর শাহবাগ সহ গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে ফেটে পড়েন দলীয় নেতাকর্মীরা। এতে দলীয় সকল পদ থেকে বহিষ্কার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতা বিরোধী বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমকে মেয়র পদ থেকেও অপসারণের দাবি তুলেন নেতাকর্মীরা।
অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হওয়া অডিও মাইক যোগে নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রচার হতে দেখা গেছে। অডিও-তে জাহাঙ্গীর আলম বলছেন, “এই যে আমাগো বঙ্গবন্ধু ৩০ লাখ মারাইছে, ৩০ লাখ মানে ৬৪ জেলায় পঁয়তাল্লিশ হাজার কইরা মারছে প্রতি জেলায়। হের স্বার্থ উদ্ধার কইরা লইছে। আমরা যদি ব্রিটিশের লগে থাকতাম তবে পৃথিবীর সব চাইতে লেটেস্ট জাতি থাকতাম...’
এছাড়াও অডিও-তে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মোঃ কামরুল আহসান সরকার রাসেল, শামসুদ্দিন সরকার, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্যা খান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল সম্পর্কেও মেয়র জাহাঙ্গীরকে আপত্তি জনক মন্তব্য করতে শোনা গেছে ওই অডিওর কথোপকথনে।
বহুমাত্রিক.কম