ছবি- সংগৃহীত
যশোর : যশোরে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে পুলিশে চাকরির মামলায় ৪ জন রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম আসামিদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো আসামিরা হলো, যশোর সদরের ছাতিয়ানতলা ঘোপ গ্রামের সাইফুর রহমানের ছেলে কনস্টেবল নম্বর ৮২১ ( ইন্টিটেরিজম ইউনিট ঢাকা) রানা হাসান, বাঘারপাড়ার সাইটখালি গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে কনস্টেবল নম্বর ১৪৬৫(ঝিনাইদহ) বাপ্পী মাহমুদ, চৌগাছার জগন্নাথপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে কনস্টেবল নম্বর ৬১৬৮ (কেএমপি) মনিরুজ্জামান ও কোটালিপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে কনস্টেবল নম্বর (১২২৪) আলীম উদ্দিন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ৩ ডিসেম্বর যশোর পুলিশ লাইন ময়দানে কনস্টেবল পদে নারী পুরুষ নিয়োগের জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কনস্টেবল পদে তারা চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়। ৬ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে তাদেরকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে যোগদান করানো হয়। এরপর তাদের দেয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট যাচাই-বছায়ের জন্য পুলিশ হেড কোয়ার্টারের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়।
যাচাই-বাছায়ে চুড়ান্তভাবে নিয়োগ পাওয়া ৮ জনের মুক্তিযোদ্ধার সর্টিফিকেট ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে ৩০ ডিসেম্বর প্রতারণা ও জালজালিয়াতির অভিযোগে ওই ৮ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন যশোর রিজার্ভ অফিসের আরওআই পরিদর্শক এম মশিউর রহমান। এ মামলার এজাহারভুক্ত ৮জনের মধ্যে ওই ৪ জন পুলিশী গ্রেফতার এড়াতে রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেনদ করেন। বিচারক জামিন আবেদনের শুনানী শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
বহুমাত্রিক.কম