বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৫০তম বছরকে স্মরণীয় করতে আগামী বছর বিজয়বর্ষ উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।একই সঙ্গে দেশটিতে নানা আয়োজনে বিজয় দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর আমন্ত্রণে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধা, প্রাক্তন ও বর্তমান সেনা বাহিনীর সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাও বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্যতম ঐতিহ্যশালী কমান্ডগুলোর মধ্যে পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড অন্যতম। এই কমান্ড থেকেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছিল ভারত।সেই স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ভারতীয় বীর সেনারাও শহীদ হয়েছিলেন। আহতও হয়েছেন অসংখ্য ভারতীয় সেনা সদস্য।
ভারতীয় সেই সেনাদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বাংলাদেশের সঙ্গে তাই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপন করে আসছে ভারতীয় সেনাবিহীনির ইষ্টার্ন কমান্ডও। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান অনীল চৌহান ও বাংলাদেশের ৫৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতা মুক্তিযোদ্ধা আলী মোশারফ, কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা; প্রাক্তন সেনা প্রধান জেনারেল শঙ্কর রায় চৌধুরীসহ অনেকেই শহীদ বীর সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি দলের প্রধান সংসদ সদস্য আলী মোশারফ জানান, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর যেসব সদস্য আমাদের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন তাদের সম্মান জানাতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।
বিজয় দিবস উপলক্ষে ভারতীয় সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রদর্শনীর আয়োজনও ছিল নজর কাড়ার মতো। প্রদর্শনীতে মুক্তিযুদ্ধের চিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়।
এদিকে, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ ভারতীয় সেনাদের স্মরণে বুধবার সকালে দিল্লিতে অবস্থিত ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে `স্বর্ণিম বিজয় মশাল` প্রজ্জ্বলন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।