ছবি- সংগৃহীত
মায়ের দৌড়ানি আমিও অনেক খেয়েছি।
জ্যৈষ্ঠ মাসের শুষ্ক দিন। বাড়ির বারবাড়িতে (বাড়ির পিছনের উঠোন) এই সময়টায় ঝাঁক বেঁধে চড়ুই পাখি বালিতে স্থান করতো (চড়ুই ঝাঁকে ঝাঁকে এসে গায়ে বালি মাখতো)। বালি মাটিতে রিদম তুলে ডানা ঝাড়তো। এটা আমার খুব ভালো লাগতো।
একদিন মনের ভিতর একটা শয়তানি ঢুকলো। এতো পাখি এক সাথে! ঢিল মারলে তো একটা না একটার গায়ে লাগবেই। বয়স তখন দশ কি এগারো।
হাতে একটা মাটির শক্ত ঢিলা নিয়ে মেরে দিলাম। ঠিকই একটার গায়ে লেগে গেলো। পাখিটা নাচানাচি শুরু করলো। দৌড়ে গিয়ে ধরে ফেললাম।
মা দেখে ফেললো।
মায় কইলো ‘এইডা কী করলি?’
মায়ের আর্ত চিৎকারে ভয় পেয়ে পাখিটা ফেলে দিয়ে দৌড় দিলাম। মায়ের এমন দৌড়ানি আমি অনেক খেয়েছি। ভাবতাম বাড়ি ফিরলে মাইর দিবে। ভয়ে ভয়ে বাড়ি ফিরলেও দেখতাম মা ভুলে গেছে।
মায়েরা এ ভাবেই ভুলে যায়। ভালো থেকো মা।
লন্ডন, ১০ মে ২০২০
বহুমাত্রিক.কম