আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে আয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোরবানির হাটের ইজারাদারদের হাটের প্রবেশ পথে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা (বেসিনসহ হ্যান্ড স্যানিটাইজার) রাখতে হবে। ক্রেতাদের মাস্ক পরে হাটে প্রবেশ করতে হবে। কোনো ক্রেতা মাস্ক না আনলে তাকে ইজারাদারদের কাছে সংরক্ষিত মাস্ক কিনে হাটে প্রবেশ করতে হবে। হাটের কাছে ব্যাংকের বুথ থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষাসেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, আইজিপি ড. বেনজির আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, রাস্তাঘাটের ওপর কোরবানির পশুর হাট দেওয়া যাবে না। পশুর ট্রাক কোনো হাটে যাবে, তা ট্রাকের সামনে ব্যানারে লেখা থাকতে হবে। পশুবাহী কোনো গাড়ি রাস্তায় থামানো যাবে না। নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিবারের মতো, জাল নোট, চাঁদাবাজি, অজ্ঞান-মলম পার্টি বিরুদ্ধে অভিযান ও নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।
ঈদ উপলক্ষে নদীপথে ফেরি, লঞ্চ ও জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করলে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ ব্যবস্থা নিবে। নদীপথে পশুবাহী ট্রলার যাতে অতিরিক্ত বোঝাই (ওভারলোড) করা না হয় সে ব্যাপারে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ লক্ষ্য রাখবে।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ ও যথাযথভাবে বিপণনের বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বোনাস যথাসময়ে পরিশোধে বিজিএমইএ এবং কারখানা মালিকগণ ব্যবস্থা নেবেন।
এতে আরও সিদ্ধান্ত হয়, পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা গাইড লাইন বাস্তবায়নে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। ঢাকা শহরের বাইরে পশুর হাট বসানোর জন্য ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি কর্পোরেশন ব্যবস্থা নিবে।