মৌলভীবাজার : ধর্মীয় নানা আনুষ্ঠানিকতা ও ভাব গাম্ভির্যে গঙ্গা স্নানের মধ্য দিয়ে কমলগঞ্জের মাধবপুর চা বাগানে ১৯তম কাত্যায়নী পূজা সম্পন্ন হয়েছে। ধলাই নদীর প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গঙ্গা স্নান ও পূজা অর্চনা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার ভোর রাত থেকেই বিভিন্ন চা বাগানের কয়েক হাজার নারী পুরুষ ভক্তরা গঙ্গা স্নান ও পূজা অর্চনা করতে ধলাই নদীর তীরে হীরামতি এলাকায় সমবেত হন।
স্থানীয়রা জানান, দিনটি উপলক্ষে মাধবপুর চা বাগান সনাতনী ভক্তবৃন্দের আয়োজনে মাসব্যাপী ব্রত পালন শেষে রাত থেকে চা বাগানের বিভিন্ন মন্দিরে নাম সংকীর্তন শুরু হয়। মঙ্গলবার সকালে চা শ্রমিকদের কাত্যায়নী পূজা আয়োজক কমিটির আমন্ত্রণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু, মাধবপুর চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক প্রসেন ঘোপ প্রমুখ।
কাত্যায়নী পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্যামদাস পাইনকাসহ আয়োজকরা জানান, বিগত পুরাণ গ্রহ্নের দশম স্কন্দের দ্বাবিংশ অধ্যায়ে কাত্যায়নী ব্রতের উল্লেখ আছে। এই কাহিনী অনুযায়ী ব্রজের গোপীগণ কৃষ্ণকে পতিরুপে কামনা করে সমগ্র কার্তিক মাস জুড়ে এই ব্রত পালন করা হয়। এই এক মাস তারা কেবলমাত্র মশলা বিহিন খিচুড়ি খেতেন এবং সকাল বেলা নদীতে স্নান করে নদীর তীরে মাটির কাত্যায়নী মূর্তি গড়ে চন্দন, দীপ, ফল, পান, নবপত্র, মালা ও ধূপ দিয়ে দেবীর পূজা করা হয়। এরপরই নদীতে ¯œান করে ভক্তরা বাড়ি ফিরে যান। মনমত স্বামী প্রার্থনায় গত এক মাসব্যাপী উপবাস করে কাত্যায়নী ব্রত পালন করা হয়েছে।
বহুমাত্রিক.কম