ছবি-সংগৃহীত
ফেসবুকে ডঃ জয়ন্ত চৌধুরী এবিষয়ে লিখেছেন, ‘জাতীয় মহাফেজখানা ওয়েবসাইট থেকে তথাকথিত নেতাজি কন্যা আনিতা সংক্রান্ত ফাইলcon/8(18) থেকে ৮১টি পৃষ্ঠা উধাও হয়ে গেছে। আজ সকালের সেই চিত্র, প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠা তুলে দিলাম। ৯৪টি পৃষ্ঠার মধ্যে মাত্র ১৩টি দেখা যাচ্ছে। জাতির উদ্দেশ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফাইলগুলি ডি- ক্লাসিফাই করেছিলেন।’
জাতীয় মহাফেজখানা থেকে প্রধানমন্ত্রীর জনসমক্ষে আনা ফাইল কিভাবে লাপাত্তা হয়ে গেল-এনিয়ে দিনভর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কের ঝড় উঠে। নেতাজিপ্রেমীরা এধরণের অপপ্রচেষ্টার তীব্র জানিয়ে বলছেন, নেতাজিকে ঘিরে যে মিথ্য তথ্য প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র বহুদিন থেকে চলেছে ফাইল সরিয়ে নেওয়া তারই অংশ। তারা বলছেন, এই অপচেষ্টা প্রকৃত সত্যকে আড়াল করতে পারবে না।
নেতাজিপ্রেমী রত্না সরকার ফেসবুকে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, ‘সমস্ত শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এগিয়ে আসুন, কে বা কারা এই রকম একটা জঘন্য কাজ করলো।’ অসিত সরকার সরকারি মহাফেজখানা থেকে নথি গায়েব হওয়ায় বিস্ময় জানিয়ে লিখেছেন, ‘নেতাজির বিশাল ইতিহাসের এক টুকরা কাগজ ও মহামূল্যবান।’
মাধব ভক্ত নামে নেতাজি অনুরাগী লিখেছেন, ‘জওহরলাল নেহেরুর মিথ্যা সৃষ্ট গল্পের নায়িকা এনিটা-এমিলিরা। নেতাজির পরিবারের কয়েকজন সদস্যদের মিথ্যা গল্প এনিটা-এমিলিরা। এই মিথ্যা প্রকাশ হওয়ার শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাই বৃহত্তর ষড়যন্ত্র করে এই ফাইলের গুরুত্বপূর্ণ সব পাতা ছিঁড়ে নেওয়া হয়েছে। কারণ ভয়ঙ্কর সত্য ইতিহাস প্রকাশ করার সময় এসে গেছে, এটা যারা এতদিন মিথ্যা গল্প ফেঁদেছে তারা বুঝতে পেরেছে।’