ছবি-সংগৃহীত
ভারতীয় হাই কমিশন, ঢাকা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় গান্ধী@১৫০ শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। ৭ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী চলবে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা ভবনের ৪ নং গ্যালারিতে সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনীটি।
মঙ্গলবার মহাত্মা গান্ধীর প্রতি পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়। জামালপুরের সাংসদ মির্জা আজম এবং নোয়াখালীর সাংসদ এইচ. এম. ইব্রাহীম অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন। নোয়াখালী ও জামালপুরে বাংলাদেশের দু’টি গান্ধী আশ্রম অবস্থিত। বিশিষ্ট গান্ধীবাদী চিন্তাবিদ সৈয়দ আবুল মকসুদ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ডেপুটি হাই কমিশনার বিশ্বদীপ দে এবং অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিগণ গান্ধী@১৫০ শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া শিল্পীদের সম্মাননা জানান। ডেপুটি হাই কমিশনার বিশ্বদীপ দে বলেন, এই শিল্পকর্মগুলো কেবল দর্শকদের মুগ্ধই করবে না বরং গান্ধীজীর সাধারণ ও সত্যের প্রতি নিবেদিত জীবনের কথাও স্মরণ করিয়ে দেবে।
এখানে প্রদর্শিত শিল্পকর্মগুলো গত ১২-১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের শ্রীমঙ্গলে অনুষ্ঠিত গান্ধী @ ১৫০ আর্ট ক্যাম্পে তৈরি করা হয়েছিল। বাংলাদেশের ১৫ জন তরুণ শিল্পী এই ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশের বিখ্যাত শিল্পী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক রোকেয়া সুলতানা এই আর্ট ক্যাম্পের উপদেষ্টা ছিলেন। অধ্যাপক রোকেয়া সুলতানার চিত্রকর্মও এই প্রদর্শনীর অংশ। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে শুরু করে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকালে মহাত্মা গান্ধীর জীবনের বিভিন্ন পর্যায় ফুটে উঠেছে এই চিত্র প্রদর্শনীতে।
১১ ডিসেম্বর ২০১৯ হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনে গান্ধী@১৫০ আর্ট ক্যাম্প উদ্বোধন করেন। ডেপুটি হাই কমিশনার বিশ্বদীপ দে ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং শিল্পীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। শিল্পীরা সত্য, অহিংসা, ‘বসুধৈব কুটুম্বকম্-সমগ্র বিশ্ব এক পরিবার’ ইত্যাদির মত গান্ধীজীর বিভিন্ন দর্শনকে ভাস্কর্য, চিত্রকর্ম, বাটিক, ধাতব ও কাঠের বিভিন্ন মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে।