-পুরোহিত গোবিন্দ দাস বাবাজি ওরফে ফরেস্ট চৌহান
সিলেটের গোলাপগঞ্জে মন্দিরে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে মন্দিরের এক পুরোহিত। ঘটনাটি উপজেলার বাঘার কালাকোনা গ্রামে। এ সময় ওই তরুণীর চিৎকারে এলাকাবাসী অর্ধনগ্ন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুরোহিত গোবিন্দ দাস বাবাজি ওরফে ফরেস্ট চৌহানকে জনতা আটকের পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। তিনি তার অপকর্মের কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় আরও একজন পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।
গোপালগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। জানা গেছে, দীর্ঘ দিন থেকে উপজেলার বাঘার কালাকোনা গ্রামে শ্রীশ্রী গিরিধারী জিও মন্দিরের পুরোহিত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে গোবিন্দ দাস বাবাজি ওরফে ফরেস্ট চৌহান (৪৬) নামে এক পুরোহিত। তিনি টাঙ্গাইল জেলার দেলদোয়ার থানার সিলিমপুর গ্রামের কালু চৌহানের ছেলে।
ওই এলাকার এক তরুণী অন্য দিনের মতো মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্মীয় শিক্ষালাভের জন্য মন্দিরে তার কাছে যায়। এ সময় মেয়েটিকে মন্দির থেকে জরুরি কাজের কথা বলে ফুসলিয়ে মন্দিরের পাশে নিয়ে যায় পুরোহিত ও তার অপর সহযোগী দিপংকর দেব তপন।
সেখানে তারা মেয়েটির মুখে চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটি চিৎকার শুরু করে। এ সময় আশপাশ এলাকার লোকজন ও মেয়েটির আত্মীয়স্বজন এগিয়ে এসে তাকে অর্ধনগ্ন অবস্থা উদ্ধার করেন। পরে ভুক্তভোগী তরুণীর দেয়া তথ্যমতে, মন্দিরের পুরোহিত গোবিন্দ দাস বাবাজি ওরফে ফরেস্ট চৌহানকে এলাকাবাসী আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
এ সময় তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টার বিষয়টি পুরোহিত স্বীকার করে। পুরোহিতের অপকর্মের সহযোগী কালাকোনা গ্রামের ছতুল দেবের ছেলে দিপংকর দেব তপন (৩৮) পালিয়ে যায়। ঘটনার পর ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে অভিযুক্ত দুইজনের নাম উল্লেখ করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি দায়ের করেন।