ঢাকা : ভূমিকম্পে যেমন থরথর করে কেঁপে ওঠে পৃথিবী, দুলে ওঠে মাটি, ফুলে-ফেঁপে ওঠে সাগর, মহাসাগর, এই প্রথম দেখা গেল ঠিক তেমনটাই ঘটে মঙ্গলেও। আর এই ভূমিকম্পের ফলে মঙ্গলের ভূ-অভ্যন্তরে সৃষ্ট শব্দ শুনতে পেলেন পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা। যার নাম- `মার্শকোয়েক`। এই আওয়াজ শোনার জন্য ৫০ বছর ধরে অপেক্ষায় ছিলেন বিজ্ঞানীরা।
এই আওয়াজের ফলে বোঝা গেলো, এখনও পুরোপুরি মরে যায়নি লাল গ্রহ। এখনও বদলাচ্ছে তার গঠন। বদলাচ্ছে তার অন্দর।
মঙ্গলের ভূ-অভ্যন্তরের সেই আওয়াজ শুনতে পায় নাসার পাঠানো মহাকাশযান `ইনসাইট`-এর ল্যান্ডারে থাকা `সিসমিক এক্সপেরিমেন্ট ফর ইন্টিরিয়র স্ট্রাকচার` (সিস) যন্ত্রটি। যা আদতে একটি ফরাসি যন্ত্র। `সিস` সে শব্দ রেকর্ড করে তা পাঠিয়েছে গ্রাউন্ড স্টেশনে। তারপর সেই শব্দকে আমাদের শ্রবণযোগ্য করে তোলা হয়েছে।
মঙ্গলের যে গোঙানি শুনেছে ইনসাইটের `সিস`, শুনুন নাসার অডিও
নাসা জানিয়েছে, এই শব্দ মোটামুটি ভালভাবে শোনা গিয়েছে গত ৬ এপ্রিল। তবে তার আগে-পরে আরও তিন দিন ওই শব্দ শুনেছে সিস। যদিও তা খুবই নীচু স্বরে- গত ১৪ মার্চ, ১০ এপ্রিল এবং ১১ এপ্রিলে।
মঙ্গলে নাসার ল্যান্ডার ইনসাইট নামার ১২৮তম দিনে ঘটেছে এই ঘটনা। যা পৃথিবীর সাড়ে ১২৫ দিনের সমান। কারণ, পৃথিবীর দিন-রাতের আয়ু যতটা, মঙ্গলের দিন-রাতের আয়ুও প্রায় ততটাই। পৃথিবী নিজের কক্ষপথে ঘুরতে যে সময় নেয় (২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট), তার চেয়ে সামান্য কিছুটা বেশি সময় নেয় লাল গ্রহ। ঘণ্টার হিসেবে তাই মঙ্গলের একটি দিন পৃথিবীর চেয়ে সামান্য একটু বড়। তার দৈর্ঘ্য ২৪ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট থেকে ২৪ ঘণ্টা ৩৯ মিনিটের মধ্যে। এটাকে বলে `সল`।