ঢাকা : মংলা ও বুড়িমারী বন্দরে সেবা দিতে সবক্ষেত্রে শতভাগ দুর্নীতি হয় বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
রোববার টিআইবির কার্যালয়ে ‘মংলা বন্দর ও কাস্টম হাউজ এবং বুড়িমারী স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন : আমদানি-রফতানি প্রক্রিয়ায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দীর্ঘ অনুসন্ধান ও গবেষণায় আমরা বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি, বন্দর দুইটিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং কাস্টমসের সব পর্যায়ে শতভাগ দুর্নীতি রয়েছে। এর পক্ষে আমাদের কাছে শত শত তথ্য প্রমাণ থাকলেও তা আইনিভাবে প্রমাণের কোনো সুযোগ টিআইবির নেই।
তিনি বলেন, তবে বন্দর অপেক্ষা কাস্টমসে দুর্নীতির পরিমাণ বেশি। এর কারণ বন্দর অপেক্ষা কাস্টমসে সেবাদানের সুযোগ বেশি। তবে কে বেশি, কে কম সেটা বড় কথা নয়। সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি শতভাগ।
তিনি আরো বলেন, অন্যায় করে বিচারের মুখোমুখি না হওয়ার যে সংস্কৃতি দেশে গড়ে উঠেছে তাতে কেবল বন্দরই নয়, সব ক্ষেত্রেই সুশাসনের অভাব দেখা যাচ্ছে। তবে সামান্য পদক্ষেপে কিছুটা পরিস্থিতির উন্নতি ইতিবাচক হলেও তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। এক্ষেত্রে নিশ্চয়ই কোনো পক্ষ এসব দুর্নীতি থেকে সুবিধা নিয়ে থাকে। আর এ কারণেই অনিয়ম বন্ধ হয় না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুড়িমারী বন্দরে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধাপে বিল অব এন্ট্রি প্রতি গড়ে কমপক্ষে ২ হাজার ৫০ টাকা ঘুষ দিতে হয়। একইভাবে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১ হাজার ৭ টাকা ঘুষ দিতে হয়।
একইভাবে মোংলা বন্দরের কাস্টম হাউজে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও কমপক্ষে ৩৫ হাজার ৭শ’ টাকা হিসাব বহির্ভূতভাবে আদায় করা হয়। অন্যদিকে গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৪ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়।
এছাড়া এই দুই বন্দরে সেবা দিতে বছরে ৩১ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন হয় বলে দাবি করা হয় টিআইবি’র পক্ষ থেকে।