প্রতিবেশী দেশ ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলে করোনার নতুন আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের পর থেকে সীমান্তসহ পর্যটকদের ভ্রমণে নজরদারি বাড়িয়েছে জার্মানি।
নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট যাতে জার্মানিতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকেই সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে দেশটির সরকার।
ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলে করোনার নতুন আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট বি.১.৬৪০.২ শনাক্ত হয়েছে। এতে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ জার্মানিতে।
এমনিতেই ওমিক্রনে নাকাল অবস্থা দেশটির। তাই নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট যাতে ফ্রান্স থেকে জার্মানিতে ছড়িয়ে যেতে না পারে, সেজন্য দুদেশের সীমান্তে বসবাসরত বাসিন্দাদের জন্য আরোপ করা হয়েছে নানা বিধিনিষেধ।
এক জার্মান নারী বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের দেশে পর্যটক সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কম। করোনার এমন সংকটে পর্যটকদের না আসাটাই ভালো সিদ্ধান্ত বলে মনে করছি। শহর কিংবা গ্রাম সবখানে সরকারের দেওয়া করোনানীতি অনুসরণের বিষয়টি আমরা খেয়াল রেখে চলছি।
জার্মানিতে দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও কমছে না নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। সব মিলিয়ে দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা এক লাখ ১৩ হাজার আর সংক্রমণ ছাড়িয়েছে ৭৩ লাখ।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের প্রতি অসন্তোষ বাড়ছে নাগরিকদের। তবে করোনা থেকে বাঁচতে সবাইকে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেশটির সরকারের।
আরেক জার্মান নাগরিক বলেন, কি আর বলব—করোনা নিয়ে আমি কিংবা আমরা সবাই খুব বিরক্ত। মনে হচ্ছে প্রশাসন ভুল পথে হাঁটছে। না হয় এতদিন হয়ে গেল অথচ করোনাকে বশেই আনা যাচ্ছে না। আমাদের মত সাধারণ মানুষের কি হবে?
এদিকে, নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্কে জার্মানির প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রিয়াতেও করোনা নীতিমালায় কড়াকড়ি এনেছে চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার। এখন থেকে দেশটিতে সাধারণ নাগরিকদের বাইরে যেতে পরতে হবে এফএফপি টু মাস্ক। করোনা নীতিতে কড়াকড়ি এনেছে ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডসও।