ভোলা : ভোলায় চরাঞ্চলে মহিষের খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ঘাসের অভাবে মরে যাচ্ছে মহিষ, দুধ কমে গিয়ে মরে যাচ্ছে বাচ্চা। নেই কোন ব্যাবস্থা।
মহিষের মালিকরা দিন কাটাচ্ছে নানা আশঙ্কায়, ভোলার প্রাণিবিভাগ বলছে ঘাসের চারণ ভূমি করা গেলে এ সংকট উত্তরণ সম্ভব।
সরকারি হিসেব মতে দ্বীপজেলা ভেলার সদর, দৌলতখান, বোরহান উদ্দিন, লালমোহন, তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন ও মনপুরা এ সাত উপজেলায় ছোট বড় নতুন পুরাতন মিলে ১৫৪টি চর রয়েছে। এসব চরে রয়েছে প্রায় ৯৩ হাজার মহিষ। নানা সমস্যা নিয়ে চরাঞ্চলে টিকে আছে মহিষ। চরে কোন ঘাস নেই, ঝড়ঝঞ্ঝায় আশ্রয় নেয়ার মতো বিশেষ নেই কোন কেল্লা।
ঘাসের অভাবে মহিষের দুধ ও মাংস কমে যাচ্ছে। দুধ না পেয়ে মরে যাচ্ছে মহিষের বাচ্চা। প্রতি বছর নানান রোগে অনেক মহিষ ও মহিষের বাচ্চা মারা যায়। আবার কিল্লা না থাকায় বন্যার পানিতে ভেসে যায় মহিষ।
আসন্ন বর্ষা মৌসুমে আবারও মহিষ হারানোর ভয়ে শিঙ্কিত মহিষ মালিকরা। মহিষ মালিক ও বাথাইননারা (মহিষের রাখাল) জানান, মেঘনার মধ্যবর্তি এ সব চরগুলোর খবর রাখেনা কেউ।
এব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকার, জানান, প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে জেগে উঠা চরগুলো বন বিভাগ নিয়ে নেয়। সরকার যদি প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে কিছু কিছু চর মহিষ মালিকদের বরাদ্দ দেয় তা হলে সেখানে মহিষের নিরাপদ চারণ ভূমি করা গেলে খাদ্যসহ বিভিন্ন সংকট সহজেই মোকাবেলা করা সম্ভব।
বহুমাত্রিক.কম