ঝালকাঠি : বর্তমান সরকারের অব্যাহত উন্নায়ন থেকে পিছিয়ে পড়া অবহেলিত নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের এক কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘ দিনেও সংস্কারের মুখ দেখেনি। খানা-খন্দে ভরা ওই রাস্তাটি এখন পথচারীদের বিষফোঁরা।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেষ ও নলছিটি উপজেলার শুরু ভৈরবপাশা ইউনিয়ন তথা ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুত সমিতির সামনে বরিশাল-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়ে বাদামতলা, লক্ষনকাঠি, গাইনবাড়ী হয়ে ঝালকাঠি বিসিক শিল্পনগরীর সামনে আঞ্চলিক মহসড়কের সাথে সংযোগ রাস্তাটি।
রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গায় ইট সরে গিয়ে কাদা পানি আর ছোট খানা-খন্দ এখন বড় গর্তে পরিনত হয়েছে। জোয়ারের পনিতে রাস্তা ডুবে পথচারীরা প্রায়ই গর্তে পরে গিয়ে আহত হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সু-দৃস্টি দিলেই এ ভোগান্তির পরিত্রান পেতে পারে এলাকাবাসী। তবে স্থানীরা রাস্তাটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তার আশু হস্থক্ষেপ কামনা করছেন।
দীর্ঘ ১৬ বছর পুর্বে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর রাস্তাটি ইট দিয়ে হেরিংবন্ড করে। এরপর থেকে আর কোন সংস্কার করা হয়নি। সংস্কারের অভাবে চলাচলর অনুপযোগী রাস্তাটির হেরিংবন্ডের ইট ও মাটি সড়েগিয়ে পার্শবর্তী খালের সাথে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে এলাকার মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে চার চাকার যানবাহন তো দুরের কথা রাস্তাটিতে তিন চাকার ভ্যান গাড়ী ঢোকাই কষ্টকর। চিকিৎসার জন্য রোগীকে কোলে তুলে অথবা পালকীর বেশে কাধেঁ করে আঞ্চলিক মহসড়কে নিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ওমর আলী হাওলাদার জানান, সারাদেশে অব্যাহত উন্নয়নের সামান্য ছোয়া পেলে এলাকার দুইটি মাদরাসা, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট ছোট শিক্ষার্থী ও চারটি মসজিদের মুসুল্লির যাতায়াতসহ তিন গ্রামের হাজারো মানুষ উপকৃত হবে।
ভৈরবপাশা ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লিটন মেম্বার বলেন, রাস্তাটি এলজিইডি’র আওতাধিন এটা ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউপি সদস্য সংস্কার করার ক্ষমতা রাখেনা।
এ ব্যাপারে নলছিঠি উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা বাকি চৌধুরীর মুঠোফোন (০১৭১১২৮৯০২৬) নং একাধিকবার ফোন দিলে রিসিভ করেননি।
বহুমাত্রিক.কম