ভোলা : ভোলায় আখের বাম্পার ফলনে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকা,ভালো জাত নির্বাচন,রোগব্যাধি কম থাকা,সময় মতো কৃষি উপকরণ এবং পরামর্শ পাওয়ায় বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর ফলন বেশী হয়েছে এমন দাবী কৃষি অফিস ও কৃষকদের। আগাম আখ বাজারে আসায় কৃষকরা বাজার দাম ও বেশী পাচ্ছে।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি বছর এ উপজেলায় ১৩০-হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আখ আবাদ হয়েছে। অমৃত, রংবিলাশ, ঈশ্বরদি-১.২ সিএসি ২০৮ জাতের আখের গড়ে হেক্টর প্রতি উৎপাদন ৪৫ টন ।
এ বছরই প্রথম বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষনা কেন্দ্র কর্তৃক উদ্ভাবিত অমৃত এবং রং বিলাশ জাত ইক্ষু বোরহানউদ্দিনে চাষ করা হয়। প্রতি একর জমি থেকে কৃষকরা ৩০হাজার টাকার আখ বিক্রয় করছে।
আখ উৎপাদনে ঝুকি কম, এছাড়া ও এর সাথে সাথি ফসল উৎপাদ করে বাড়তি টাকা আয় করা যায়।যার কারণে আখের উৎপাদন খরচ কম হয়। এতে করে কৃষকরা অন্যান্য ফসলের চেয়ে আখ চাষে বেশী লাভবান হন। এ কারণে কৃষকরা আখ চাষের দিকে ঝুকছেন।
উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের ৩ ওয়ার্ডের বোরহানউদ্দিন কামিল মাদরাসা সংলগ্ন কয়েকটি আখ ক্ষেত পরিদর্শনে গিয়ে কথা হয় কয়েকজন আখ চাষির সাথে।
ওই এলাকার ইছাহাক মিয়া জানায়, চলতি বছর তিনি ৪৪ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেন। এতে খরচ হয় ৪০হাজার টাকা। ওই জমির আখ তিনি ক্ষেতেই ১লাখ ২৫ হাজার টাকায় বিক্রয় করেন। তিনি আরও জানান, ধানের চেয়ে আখে খরচ ও পরিশ্রম কম কিন্ত আয় বেশী। গত বছরের চেয়ে এ বছর তিনি আখ বেশী করেন বলে জানান।
আখ চাষী পলাশ মোল্লা, হারুন, শরীফ, ও খোকন জানায়, আখের রোগ বালাই কম।অন্য ফসলের মতো এতো যত্ন করতে হয় না।আখ বিক্রয় করে অর্ধেক অর্ধেক লাভবান হওয়া যায়।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ মো: ওমর ফারুখ জানান, আখ চাষ একটি লাভ জনক । লাল পচা রোগ ছাড়া তেমন জটিল রোগ নেই এ ফসলে। বর্তমানে আমরা এ উপজেলায় চিবিয়ে খাওয়ার উপেযোগী জাতের আখ চাষের জন্য চাষীদের উদ্বুদ্ধ করছি।
বহুমাত্রিক.কম