ঢাকা : ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন জরুরি পরিস্থিতিতে মিশন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করতে একটি হোয়াটস অ্যাপ হটলাইন নম্বর চালু করেছে।
করোনাভাইরাস (কোভিড -১৯) এর বিশ্বব্যাপী প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষিতে এই অনলাইন সেবাটি চালু করা হয়েছে। দিনরাত ২৪ ঘন্টা এই অনলাইন সেবা চালু থাকবে।মিশনের ওয়েব সাইটে দেয়া হটলাইন নম্বরটি হলো- +৯১৮৫৯৫৫৫২৪৯৪।
ভারতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান গতকাল সন্ধ্যায় বাসসের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিশেষত শিক্ষার্থীরা, যারা ভারতের অনেক জায়গায় বসবাস করছেন, কোভিড-১৯ এর পরিপ্রেক্ষিতে যে কোন ধরণের সহায়তার জন্য এই নম্বরের মাধ্যমে মিশনের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
তিনি বলেন, এ ছাড়াও মিশন হোয়াটস অ্যাপে ভারতে অবস্থানকারী বাংলাদেশের নাগরিকদের একটি ডাটাবেস প্রস্তুত করছে যাতে আমরা তাদের সঙ্গে এই সংক্রান্ত মিশনের সেবা দিতে সহজেই যোগাযোগ করতে পারি। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে, আমরা ইতোমধ্যে ৭ শ’ বাংলাদেশীর নাম এবং ঠিকানা সংগ্রহ করেছি, যার বেশিরভাগই শিক্ষার্থী,’ যোগ করেন তিনি। ভারতীয় হাসপাতালে বাংলাদেশী রোগীদের যে কোনও সাহায্যের জন্য হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছেন।
হাইকমিশনার ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশী নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আতঙ্কিত হবেন না, হাইকমিশন আপনাদের সঙ্গে রয়েছে।
ইতোমধ্যে, হাই কমিশন করোনাভাইরাসের মহামারী বিবেচনায় বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি ভ্রমণ পরামর্শ জারি করেছে।
পরামর্শ অনুসারে, হাইকমিশন একান্ত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কনস্যুলার পরিষেবা গ্রহণের জন্য ব্যক্তিগতভাবে হাইকমিশনে আসতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এতে ভারতে থাকা বাংলাদেশী নাগরিকদের ভিড় ও জনসমাগম এড়াতে এবং চলাচল ও কোয়ারেন্টাইন সম্পর্কে ভারত সরকারের নির্দেশাবলী কঠোরভাবে অনুসরণ করার পরামর্শ দেয়া হয়।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় সুত্রের খবরে বলা হয়, আজ ভারতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৮ (স্থানীয় সময় বলা ১২:২৫ টায় প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী) দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৩৫ টি নতুন আক্রান্তের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে।
আক্রান্ত ২৫৮ জনের মধ্যে ৩৯ বিদেশি নাগরিক, যাদের মধ্যে ইতালির ১৭ জন, ফিলিপাইনের তিন জন, যুক্তরাজ্যের দু’জন, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুরের একজন করে। দিল্লি, কর্ণাটক, পাঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্রে একজন করে মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
