ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে আকাশ পথে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন সরবরাহের পরিবহণ ব্যবস্থাসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা অথবা কাল সকাল থেকেই এই সরবরাহ কার্যক্রম শুরু করা হবে। এ লক্ষ্যে ভারত সরকার একটি বিস্তারিত খসড়া প্রস্তুত করেছে।
বৃহস্পতিবার সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, ‘সারা-দেশে ভ্যাকসিন পরিবহণের জন্য একটি অভিন্ন খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। আজ অথবা আগামীকাল এই ভ্যাকসিন পরিবহণ শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে।’
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ভারত সরকার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পরিবহণের জন্য দেশে বেশ কয়েকটি মিনি-হাব বানিয়েছে। দেশের মোট ৪১টি গন্তব্যে (বিমানবন্দর) এই ভ্যাকসিনগুলো সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, পুনা হবে কেন্দ্রীয় হাব। এখান থেকেই দেশব্যাপী ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে। এই ভ্যাকসিন পরিবহণের জন্য যাত্রীবাহী বিমান ব্যবহার করা যাবে। সূত্রগুলো বেসরকারি টিভি চ্যানেলটিকে জানিয়েছে, ‘যেহেতু পুনা বিমানবন্দরটি ভারতীয় বিমান বাহিনীর আওতাধীন রয়েছে, সেজন্য তারা এর একটি অংশ হতে যাচ্ছে।’
এনডিটিভি বিমান মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে যে, কোভিড-১৯ (করোনার) ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য দিল্লী ও কার্নালকে ভারতের উত্তরাঞ্চলগুলোর জন্য মিনি হাব করা হবে। এছাড়া কোলকাতা ও গৌহাটিকে পূর্বাঞ্চলীয় এবং চেন্নাই ও হায়দ্রাবাদকে দক্ষিণাঞ্চলী মিনি হাব করা হবে।
দেশব্যাপী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহের বিষয়ে বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদের সাথে মালবাহী বিমান ও বিমানবন্দর অপারেটরদের অভ্যন্তরীণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ‘সীমিতভাবে জরুরি ব্যবহারের জন্য’ রোববার কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন নামে করোনাভাইরাসের দুটি ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। এগুলো ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই এবং ভারত বায়োটেক লিমিটেড উৎপাদন করেছে।
ইউনিয়ন হেলথ সেক্রেটারি রাজেশ ভূষণ সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, জরুরি ব্যবহারের’ জন্য অনুমোদনের ১০ দিনের মধ্যে দুটি ভ্যাকসিন প্রস্তুত হয়ে যাবে। ভারত দ্রুত ছাড় ও বিতরণের লক্ষ্যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কোন নির্দিষ্ট মূল্য ছাড়াই আমদানি ও রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে। সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডায়রেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আমদানি/রপ্তানি সহজ করার লক্ষ্যে নীতিমালা কিছুটা শিথিল করেছে।