ঢাকা : ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া বা ব্রেক্সিট প্রশ্নে আবারো গণভোট হতে পারে। ব্রিটিনের এক মন্ত্রী বলেছেন, দ্বিতীয় গণভোটের বিষয়টি বিবেচনার দাবি রাখে। এই ইস্যুতে যখন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে চাপের মুখে রয়েছেন তখনই তার মন্ত্রিসভার সদস্য এই মন্তব্য করলেন।
এদিকে মেকে পদ থেকে সরাতে তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা পরিকল্পনা করছেন বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। তবে মের কার্যালয় এ খবর নাকচ করেছে।
দ্বিতীয় গণভোটের দাবিতে শনিবার সেন্ট্রাল লন্ডনে প্রায় ১০ লাখ লোক সমাবেশ করে। লেবার পার্টিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা এতে অংশ নেন। দ্বিতীয় গণভোটের দাবি যখন তুঙ্গে তখনই মের মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্য চ্যান্সেলর ফিলিপ হ্যামন্ড বলেন, ব্রেক্সিট নিয়ে অচলাবস্থা নিরসনে দ্বিতীয় গণভোটের বিষয়টি আসছে দিনগুলো আইনপ্রণেতাদের জন্য একটি ‘অপশন’ হতে পারে। যদিও থেরেসা মে দ্বিতীয় গণভোটের দাবি নাকচ করে আসছে। বলা হচ্ছে, মের চুক্তির কমপক্ষে ছয়টি বিকল্প নিয়ে চলতি সপ্তাহে পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হতে পারে। এসব বিকল্পের মধ্যে রয়েছে, আর্টিকেল ৫০ বাতিল এবং ব্রেক্সিট বাতিল, আরেকটি গণভোট, প্রধানমন্ত্রীর চুক্তির পাশাপাশি একটি শুল্কবিভাগ প্রতিষ্ঠা এবং একক বাজারে প্রবেশাধিকার, কানাডা স্টাইলে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবং চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন।