Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ৬ ১৪৩১, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪

ব্রেইন টিউমার: টাকার অভাবে মৃত্যুর সাথে লড়ছে দিলীপ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৩৭, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

প্রিন্ট:

ব্রেইন টিউমার: টাকার অভাবে মৃত্যুর সাথে লড়ছে দিলীপ

ছবি: বহুমাত্রিক.কম

ঠাকুরগাঁও: ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১১ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দিলীপ চন্দ্র বর্মন(২১)। দিলিপকে বাঁচাতে প্রয়োজন বিপুল পরিমান অর্থ। টাকার অভাবে একমাত্র ছেলে দীলিপের চিকিৎসা করাতে পারছেনা তার দিন মুজুর বাবা জগেশ চন্দ্র বর্মন।

বুধবার দুপুরে দিলীপের বাসায় গিয়ে দেখা যায় বাড়ির বারান্দায় শুয়ে আছে দিলীপ। চোখ খুলতে পারছেনা স্বাভাবিক ভাবে। একটু পর পর মা-বাবা বলে ডাকছে আর বলছে আমার কি হয়েছে বলনা মা? ডাক্তার কি বলছে বাবা? দিলীপ এখনো জানেনা সে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত।

সারাক্ষণ তীব্র মাথা ব্যাথায় ছটফট করছে দিলীপ । বাব মায়ের কাছে ও আত্মীয় স্বজন, প্রতিবেশীরা তাকে দেখতে আসলেই তার মুখে শুধু শোনা যাচ্ছে বাঁচার তীব্র আর্তনাদ। এমন আর্তনাদ সহ্য করতে পারছেনা তারা বাবা-মা । দিলীপের এমন অবস্থা দেখে তার মা শোকে পাথর হয়েগেছে প্রায়। হেবেই বা না কেনো? চোখের সামনে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে তার একমাত্র ছেলে বুকের ধন। একজন নিরুপায় মা হিসেবে নীরব দর্শক হয়ে চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর বাবা তোর কিছু হয়নি বলা ছাড়া কিছুই করার নাই তার। শুধুমাত্র টাকার কাছে নিরুপায় হয়েগেছে তিনি।

এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় দিলীপের বাবা জগেশ চন্দ্র বর্মনের। তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, মাঝে মাঝে দিলীপ মাথা ব্যাথা সমস্যার কথা বলতো। বাজার থেকে ওষুধ এনে খাওয়াতাম। মনে করেছিলাম স্বাভাবিক মাথা ব্যাথা। সে নিজেও অনেকবার বাজার থেকে স্বাভাবিক ভাবে মাথা ব্যাথার ওষুধ কিনে সেবন করেছে। হঠাৎ তার তীব্র মাথা ব্যাথা হলে ডাক্তারের সরনাপন্ন হই।

ঠাকুরগাঁও থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে নিয়ে যাই। সেখানে ধরা পরে তার ব্রেইন টিউমার রোগ। চিকিৎসা করাতে অনেক অর্থের প্রয়োজন। ডাক্তার বলেছে অপারেশন করাতে হবে। আমি বুঝতে পারছিনা কি করবো? এদিকে চোখের সামনে একমাত্র কলিজার টুকরার যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছিনা। মনে হচ্ছে আমার বুকের ভেতর চিতা জ¦লছে। এখন পর্যন্ত আমার যা সহায় সম্বল ছিলো এবং আত্মীয় স্বজনদের কাছে ধার দেনা করে তার চিকিৎসা করিয়েছি। আমার কোন পথ খোলা নেই আর।

এ সময় এই প্রতিবেদকের সামনে কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন এখন ছেলেকে বাঁচাতে ভিক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায় দেখছিনা। আর প্রয়োজনে আমি তাই করবো। আমার একমাত্র ছেলে এভাবে ধীরে ধীরে মৃত্যুর সাথে লড়াই করবে একজন বাবা হিসেবে তা সহ্য করতে পারছিনা। সরকার ও সমাজের হৃদয়াবান ব্যাক্তিরা যদি আমার ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে তাহলে আমি কৃতজ্ঞ থাকবো। তাদের সহযোগিতা পারে আমার ছেলে নতুন প্রাণ দিতে। আমি হাতজোর করছি সবার কাছে আমার ছেলেকে বাঁচান। আমার একমাত্র কলিজার টুকরো ছেলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এভাবে টাকার অভাবে নষ্ট হয়ে যাবে তা মানতে পারছিনা। আমাকে সাহায্য করুন।

১১ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: সাহাগ বলেন, বিষয়টি খুব মর্মান্তিক। আমি চেষ্টা করবো আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ করার। সেই সাথে আহ্বান করবো সমাজের বিত্তবানদের যেনো তারা সবাই দিলীপকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। হাসপাতালের বিছানায় নয়- অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় বাবা মায়ের চোখের সামনে নিজের বাড়ির বারান্দায় শুয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে দিলীপ। আসুন দিলীপের পাশে দাড়াই, আসুন আরও একবার প্রমান করি মানুষ মানুষের জন্য।

সাহায্য সংক্রান্ত আলোচানার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন সরাসরি দিলীপের বাবা ও তার পরিবারের সাথে।
মোবাইল ফোন নম্বর: ০১৭৫১২৬৪১১৭

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer