বৃহৎ শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ সুবিধা প্রদানে পুন:অর্থায়ন স্কিম থেকে ঋণ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক মোট ১৪ ব্যাংকের সাথে এ বিষয়ক একটি চুক্তি সই করেছে মঙ্গলবার।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৩০ হাজার কোটি টাকার তহবিলের মধ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকা সরবরাহ করবে বাংলদেশ ব্যাংক। সেই ফান্ড থেকে ঋণ নিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশনের সাথে চুক্তি সাক্ষর করেছে ব্যাংকগুলো।
ব্যাংকগুলোর মধ্য সরকারি-বেসরকারি উভয় খাতের ব্যাংকই রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সাতটি ব্যাংক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত।চুক্তি স্বাক্ষরকারী ব্যাংকগুলো হচ্ছে- সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, সাউথবাংলা ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন ও ওয়ান ব্যাংক।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মাসুদ বিশ্বাস, অফসাইট সুপারভিশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক সহিদুল ইসলাম ও ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, সর্বমোট ৪৪টি ব্যাংক ও ২১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই তহবিল থেকে ঋণ নেবে। অন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুয়েকদিনের মধ্যে চুক্তি করবে।
গত ২৩ এপ্রিল করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত বড় শিল্প ও পরিষেবা খাতে চলতি মূলধন প্রদানে গঠিত ৩০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজের জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করে একটি সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে চলতি মূলধন ঋণ দেবে।
উক্ত আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের তারল্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে নিজস্ব উৎস থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকার একটি আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জানা যায়, বাণিজ্যক ব্যাংকগুলো ৯ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ করবে। এই প্যাকেজের আওতায় শিল্প ও সেবাখাতের উদ্যোক্তারা সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন। তবে বাকি সাড়ে ৪ শতাংশ সুদ সরকার ভর্তুকি দেবে।