ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আগামী বিজয় দিবসের আগেই মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই করে আইডি কার্ড দেয়া হবে।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন এ সভার আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা ঈদ বোনাস ছাড়াও, বিজয় দিবসের বোনাস ও স্বাধীনতা দিবসের বোনাস পাবেন। মুক্তিযোদ্ধারা শুধু পাবে, আর কেউ পাবে না। এছাড়াও চিকিৎসার জন্য সব সরকারি হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের শতভাগ ব্যয় ভার বহন করা হবে। সমস্ত মুক্তিযোদ্ধাদের কবর একই ডিজাইনের হবে। অন্য ধর্মাবলম্বী মুক্তিযোদ্ধাদের কবর কী ডিজাইন হবে তাও আমরা বলেছি।
‘বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। যেসব স্থানে আমরা হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি সেসব স্থানে স্মৃতিফলক তৈরি করা হবে। যত জায়গায় বদ্ধভূমি আছে সেসব জায়গায় অন্য নকশায় স্মৃতিফলক হবে। ঢাকা শহর থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যেক সড়কের নামকরণ করা হবে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে। এছাড়াও আর্থিকভাবে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি ঘর তৈরি করার জন্য ১৫ লাখ টাকা সরকার থেকে অনুমোদন দেয়া হবে। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে পাস হয়ে গেছে। এছাড়াও ১৬ ডিসেম্বরের আগে মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং আইডি কার্ড দেওয়া হবে। তাদের আইডি কার্ডে লেখা থাকবে তোরা কী কী সুবিধা পাবেন।’
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা গুলি করে হত্যা করেছে আমরা তাদের বিচার করেছি। কিন্তু যারা হুকুম দিয়েছে তাদের বিচার হয় নাই। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন বিমানবন্দরে মাঝে মাঝে সোনা চোরাচালান ধরা পড়ে। করা ধরা পড়ে? যারা পড়াশোনা না জানা লোক শুধুমাত্র তারাই ধরা পড়ে। দুবাই থেকে ঢাকায় যাদের নামে পাঠায় তারা কি কোনোদিন ধরা পড়ছে, ধরা পড়ে নাই। যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যা করেছে তাদের বিচার হয়নি।
মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন সভাপতি গাজী মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল উদ্দিন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিএম কামরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।