Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

চৈত্র ১৪ ১৪৩০, শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

‘বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে, জ্বালানি তেলের দাম কমানো যেতো’

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪৯, ৩০ নভেম্বর ২০১৭

আপডেট: ১৩:৪১, ৩০ নভেম্বর ২০১৭

প্রিন্ট:

‘বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে, জ্বালানি তেলের দাম কমানো যেতো’

ঢাকা : বাংলাদেশে গ্রাহক পর্যায়ে ৮ম বারের মতো বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধিকে সরকারের পক্ষ থেকে ‘সহনীয়’ বলা হলেও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম মনে করছেন, এই মূল্যবৃদ্ধি না করলেও চলতো।

এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক তামিম বলেন, বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সুযোগ ছিল সরকারের সামনে। তিনি মনে করেন, মূলত অর্থনৈতিক কারণেই বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বাংলাদেশে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার আধাবেলা হরতাল পালন করছে কমিউনিস্ট পার্টি, বাসদসহ বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের সমর্থন দিয়েছে অন্যতম বিরোধী দল বিএনপি।

এক দশক আগেও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল মূলত: গ্যাসভিত্তিক, তবে ২০০৭ সাল থেকে গ্যাসের দাম বাড়ায় তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে ঝুঁকে পড়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে বর্তমানে ৩০ শতাংশের বেশী বিদ্যুৎ জ্বালানি তেল থেকে উৎপাদিত হয়। যার মধ্যে ৭০০-৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ডিজেল দিয়ে।

ড. তামিম বলেন, বাংলাদেশে বিশ্ববাজারের চেয়ে বেশী দামে ডিজেল বিক্রি হয়। বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে ডিজেলের দাম কমিয়ে সমন্বয় করার সুযোগ ছিল সরকারের সামনে।

তবে এর আগে সরকারের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাওয়া মূল্যবৃদ্ধিকে "খুবই সামান্য ও মামুলি ব্যাপার" বলে মন্তব্য করেছেন। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও মনে করেন এই মূল্যবৃদ্ধিতে গ্রাহক পর্যায়ে যে প্রভাব পড়বে তা সহনীয়।-বিবিসি বাংলা

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer