জাপান যখন স্পেনের বিপক্ষে ৫১ মিনিটে গোল করে, তখনই বিতর্কের শুরু। বলটি টাচলাইনের বাইরে থেকে ভেতরের দিকে ঢুকিয়ে তানাকার দিকে পাস দেন মিতোমা, যা পেয়ে গোল দিয়ে উচ্ছ্বাসে মাতে জাপানিজরা। তবে গোলের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই বলছেন, গোলটি আসলে বাতিল হওয়া উচিত। বল আগেই বাইরে চলে গিয়েছে। তবে ফিফা এনিয়ে কী বলছে?
বিশ্বকাপে কোনো গোল হওয়ার পর যদি তা সন্দেহজনক মনে হয়, তাহলে ভিডিও অ্যাসিসট্যান্টের সহায়তায় গোলটা ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করা হয়। স্পেনের বিপক্ষে তানাকার গোলটি হওয়ার পরও ভিএআরের সাহায্য নেয়া হয়। বারবার দেখেও শেষ পর্যন্ত রেফারি জাপানের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেন।
ম্যাচ শেষেও ফিফা জাপানের পক্ষেই কথা বলছে। ফিফার নিয়মানুযায়ী, বল যদি `অ্যারিয়াল ভিউ` (ওপরের দিক থেকে ভিউ) থেকে কোনো অংশ লাইনের মধ্যে থাকে, তাহলে সেই বল মাঠের মধ্যে আছে বলে ধরা হবে এবং খেলা চালিয়ে যেতে হবে। অর্থাৎ, গোললাইন টেকনোলজিতে যেভাবে `অ্যারিয়াল ভিউ` থেকে দেখে নির্ধারণ করা হয় বল গোললাইন পেরিয়েছে কি না, ঠিক সেভাবেই বল মাঠের বাইরে গিয়েছে কি না, তা-ও নির্ধারণ করা হয়েছে। যেহেতু `অ্যারিয়াল ভিউ`-তে বলের পুরো ১০০ শতাংশ লাইন পার করেনি, তাই জাপানের পক্ষে সিদ্ধান্ত গিয়েছে।
এদিকে ফিফার ৯ নম্বর আইনে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, কোনো বল বেরিয়ে গিয়েছে বলে তখনই ধরা হবে, যখন সেই বল মাটিতে ঠেকা বা শূন্যে থাকাবস্থায় গোললাইন বা টাচলাইনের পুরোটা পেরিয়ে গিয়েছে। যে নিয়মের কারণে স্পেনের বিরুদ্ধে যখন মিতোমা বল পাস করেন, তখনও খেলার মধ্যেই ছিল বল।
এদিকে ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতে শেষ ১৬ নিশ্চিত করে জাপান। আর কোস্টারিকার বিপক্ষে ৪-২ গোলে বড় জয় নিয়েও গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় জার্মানিকে। ম্যাচ শেষে ধারাভাষ্যকারও বলেছিলেন, যদি জাপানের গোলটি বাতিল হতো তাহলে শেষ ১৬ নিশ্চিত হতো জার্মানির।
